রাজ-সমান্থা, রানি-আদিত্য ছাড়া আর কারা রয়েছেন এই তালিকায়? ছবি: সংগৃহীত।
সিনেমার সেটে একটা লম্বা সময় কাটাতে গিয়ে নায়ক-নায়িকার একে অন্যকে মন দেওয়া-নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। যদিও বলিউডে এমন একাধিক নায়িকা রয়েছেন যাঁরা সুর্দশন নায়ক নয়, বরং প্রেমে পড়েছেন ক্যামেরার নেপথ্যে থাকা পরিচালকদের। কারা রয়েছেন এই তালিকায়?
সমান্থা ও রাজ
১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বার বিয়ে করলেন অভিনেত্রী সমান্থা রুথ প্রভু। পরিচয়টা ছিল ২০২১ সাল থেকে। তবু প্রেমপর্বের জন্য খুব বেশি সময় নেননি তাঁরা। পাত্র পরিচালক রাজ নিদিমোরু। ক্যামেরার নেপথ্যে থাকা মানুষ। নিজের ছবি বা ওয়েব সিরিজ়ের প্রচারেও খুব বেশি দেখা যায় না তাঁকে। সেই মিতভাষী রাজ মন জয় করলেন সমান্থার। এক হল চারহাত।
ইয়ামি ও আদিত্য
২০২১ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ইয়ামি গৌতম ও পরিচালক আদিত্য ধর। ২০১৯ সালে ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ছবির শুটিং চলাকালীন প্রেমে পড়েন ইয়ামি-আদিত্য। তার দু’বছরের মাথায় হিমাচলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। একটা সময় অনেকেই বলতেন, নিজের কর্মজীবন দাঁড় করাতেই নাকি আদিত্যের মতো পরিচালকের হাত ধরেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি আদিত্য পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পেয়েছে। প্রথম থেকেই স্বামীর হয়ে প্রচার করেছেন ইয়ামি। একাধিক বাধার বিরুদ্ধে ইয়ামি সরব হলেও নীরব থেকেছেন আদিত্য।
রানি ও আদিত্য
নব্বইয়ের দশক থেকে চুটিয়ে কাজ করেছেন হিন্দি ছবিতে। অভিনেত্রী হিসাবে রানি মুখোপাধ্যায় যে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিণী, তার প্রমাণ রেখেছেন বিভিন্ন ঘরানার ছবিতে। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন ‘যশরাজ ফিল্মস্’-এর কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। ২০১৪ সালে বিয়ের পর থেকেই কমিয়ে ফেলেন কাজের সংখ্যা। বছরে একটা, কখনও আবার তিন বছরে একটা ছবি করেছেন। তবে সম্প্রতি আবার পুরনো ছন্দে ফিরেছেন রানি। একসময় ‘যশরাজ ফিল্মস্’ ছাড়া কাজ করতেন না। এখন সেই নিয়ম ভেঙেছেন নিজেই। প্রায় দশ বছরের দাম্পত্যজীবন। কিন্তু কখনও নিজের বিয়ে বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সে ভাবে মুখ খোলেননি রানি। এ দিকে আদিত্য চোপড়া নিজেও বলিউডের ‘মিথ’। ক্যামেরার সামনে ধরা দেন না, ছবি তোলেন না। অভিনেত্রী স্ত্রীর সঙ্গেও কখনও কোনও অনুষ্ঠানে যান না তিনি। তবু রানির মন কেড়েছেন সেই মুখচোরা পরিচালকই।
শেফালী ও বিপুল
অভিনয়সূত্রেই শেফালী শাহের সঙ্গে নয়ের দশকে আলাপ অভিনেতা হর্ষ ছায়ার। দু’জনেরই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণের কারণে আলাপ, সেই থেকে প্রেম। হর্ষকে ১৯৯৭ সালে বিয়ে করেন শেফালী। কিন্তু, তাঁদের দাম্পত্য সুখের হয়নি। ৪ বছর পরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে শেফালী কোনও দিন মুখ খোলেননি। কিন্তু হর্ষ দায়ী করেছেন নিজেকেই। কর্মজীবনের শুরুতে গুজরাতি নাটকে অভিনয়ের সময়ে শেফালীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বিপুল অমৃতলাল শাহের। পরে বিপুল জানান, তখন থেকেই তিনি শেফালীর গুণমুগ্ধ। কিন্তু, প্রথম দিকে শেফালীর তরফ থেকে কোনও সাড়া পাননি। হর্ষের সঙ্গে বিবাহিত জীবনের তিক্ততাই হয়তো শেফালী ও বিপুলের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়তে সাহায্য করেছিল। পরে প্রযোজক-পরিচালক বিপুলকেই বিয়ে করেন শেফালী। দুই সন্তানকে নিয়ে সুখেই সংসার করছেন তাঁরা।
নয়নতারা ও বিগ্নেশ
দক্ষিণী ছবির প্রথম সারির নায়িকা নয়নতারা। অনুরাগীরা ভালবেসে তাঁর নাম রেখেছেন ‘লেডি সুপারস্টার’। ২০১৫ সালে ‘নানুম রাউডি ধান’ নামে একটি ছবির শুটিং চলাকালীন পরস্পরের প্রেমে পড়েন নয়নতারা ও বিগ্নেশ। বিয়ের আগে নয়নতারা ও বিগ্নেশ একত্রবাস করতেন। যদিও বিগ্নেশের সঙ্গে প্রেমপর্ব শুরুর আগে একটা লম্বা সময় প্রভু দেবার সঙ্গে নয়নতারার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। শোনা যায়, সেই সম্পর্কে মন ভাঙে নয়নতারার। তখন থেকেই নাকি অভিনেত্রীর হাত ধরেন বিগ্নেশ।