Ranojoy Bishnu

পেটে আঁচড়ের দাগ, মেঝেতে মৃত গাছ, বন্ধ ঘর লন্ডভন্ড, রণজয় বিষ্ণুর বাড়িতে কি ‘ভূতের’ হানা!

মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সতেজ গাছ পড়ে রয়েছে মৃত অবস্থায়। গত তিন চার মাস ধরেই রণজয় বিষ্ণুর ফ্ল্যাটে ঘটছে এমন সব কাণ্ড কারখানা!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ১৩:৩৫
Share:

ঘরে কি অশরীরি উপস্থিতি টের পাচ্ছেন রণজয়? ছবি: সংগৃহীত।

বাইপাস ধরে বিলাসবহুল আবাসনের ২৪ তলায় থাকেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। ফ্ল্যাটের বাইরে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রী ঘূর্ণমান সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। বাইরে থেকে কেউ এলে, কিংবা ভিতরে থেকে কেউ বেরোল ধরা পড়ে সেখানে। তবু, শুক্রবার গভীর রাতে শুটিং শেষে বাড়ি ফিরতেই চমকে গেলেন রণজয়। শোয়ার ঘরে ঢুকে আলো জ্বালাতে দেখেন ঘরের সমস্ত জানলা-দরজা বন্ধ। কিন্তু, দেওয়ালে থাকা ছবি-সহ ফটো ফ্রেমে মাটিতে পড়ে। টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে রয়েছে কাঁচ। টেবিল উপর রাখা গাছ-সহ টব ভেঙে পড়ে রয়েছে মেঝেয়। সকালে যে গাছ ছিল সতেজ, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সে গাছ শুকিয়ে গেল! গত তিন চার মাস ধরেই ঘটছে এমন সব কাণ্ড কারখানা ঘটছে বলে দাবি অভিনেতার। তাঁর ইঙ্গিত অতিলৌকিকের প্রতি!

Advertisement

রণজয় কী ‘ভূত’ বা অতিলৌকিকে বিশ্বাস করেন? ভয় পেয়েছেন এই সব কাণ্ডে? আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন অভিনেতা।

গত জানুয়ারি মাসেই বাইপাসে ধারে এই ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছেন রণজয়। সেই সময় গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান করেছিলেন, পুজো দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, গত তিন মাস ধরেই খানিক উৎপাত সহ্য করছেন তিনি। ঘুম থেকে উঠলেই দেখছেন গায়ে আঁচড়ের দাগ। এমনকি জাগ্রত অবস্থায়ও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। জানিয়েছেন, টিভি দেখতে দেখতে হঠাৎ অনুভব করেছেন, পায়ে আঁচড় অথবা, সাপের ছোবলের মতো দাগ। কিন্তু, শুক্রবার নাকি সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরেই তিনি দেখেন বন্ধ ঘর একেবারে লন্ডভন্ড।

Advertisement

রণজয়ের কথায়, “আমি খুব ভয় পেয়েছি, এমন নয়। বরং ঠিক কী ঘটছে, সেটা জানতেই চাই।” অভিনেতার দাবি, তিনি নাকি এর আগে তারাপীঠের শ্মশানে গিয়ে রাত কাটিয়েও এসেছেন। ভূতে ভয় পান না। ভৌতিক সিনেমা দেখলে তাঁর হাসি পায়। এমনকি অতিলৌকিক বিষয়ে তাঁর পড়াশোনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনা অতিলৌকিক বলেই মনে করছেন রণজয়। তাই পুলিশেও খবর দিতে চাইছেন না এখনই।

রণজয় বলেন, “আমি মনে করি না এটা চুরি-ডাকাতির ঘটনা। আমার বাড়ির সিসি ক্যামেরার সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। কেউ ঢোকেনি বা বেরোয়নি ওই সময়। তবে, এর পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে হয়তো পুলিশের সাহায্য নিতেই হবে।”

অতিলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাসী রণজয় কি অন্য কোনও প্রতিকারের কথা ভাবছেন তবে? অভিনেতা জানান, তাঁর ভরসা হনুমান চল্লিশায়। তিনি বলেন, “এটা কোনও ধর্ম বিশ্বাস নয়, ছোটবেলা থেকেই এই মন্ত্রের প্রতি আস্থা রয়েছে আমার। তাই আমার ভয়-ডর লাগে না। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটছে কী ভাবে ঘটছে, সেটা অবাক করছে।” অনেকেই নাকি অভিনেতাকে প্রতিকারের নানা উপায় বাতলে দিয়েছেন। সে সবেই ভরসা রাখতে চান রণজয়।

তবে, এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে প্রথম ঘটছে না। এর আগে মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন রণজয়। সেখানেও এমন সব কাণ্ডকারখানা ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। আপাতত দক্ষিণ কলকাতার এই ফ্ল্যাটে একাই থাকেন অভিনেতা। মাঝে মাঝে আসেন বন্ধুবান্ধবেরা। তাঁরা অবশ্য এখানে কিছু অনুভব করতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement