Rhea Chakraborty

‘সোনা ভাই আমার’, জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু! ভাইয়ের কাঁধে মাথা রেখে কোন প্রতিজ্ঞা করলেন রিয়া?

বৃহস্পতিবার রিয়া একটি ছবি ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। ভাইয়ের কাঁধে মাথা রেখে অভিনেত্রী, শান্তিতে চোখ বুজে রয়েছেন শৌভিক চক্রবর্তীও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১৩
Share:

ভাই শৌভিকের সঙ্গে রিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

ভাইবোন দিবসে (সিবলিং ডে) নতুন চিরন্তন বন্ধনের ছবি প্রকাশ করলেন রিয়া চক্রবর্তী। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন অভিনেত্রী। কিছু দিন আগেই সিবিআই সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু-মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত। বেকসুর প্রমাণিত হয়েছেন রিয়া। বিশেষ দিনে ভাইয়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে মনের আনন্দ আর পারস্পরিক বন্ধনের কথাই বোধহয় তুলে ধরলেন তিনি।

Advertisement

২০২০ সালে অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, মাদকযোগ, এমনকি খুনের অভিযোগও উঠেছিল রিয়ার বিরুদ্ধে। এক মাস সংশোধনাগারেও থাকতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। অবশেষে সেই সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাই এ বার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছেন রিয়া।

বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী একটি ছবি ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। ভাইয়ের কাঁধে মাথা রেখে অভিনেত্রী, শান্তিতে চোখ বুজে রয়েছেন শৌভিক চক্রবর্তীও। উল্লেখ্য, সুশান্ত মৃত্যু মামলায় সংশোধনাগারে যেতে হয়েছিল তাঁকেও। তাই এই ছাড়পত্র পেয়ে স্বস্তিতে শৌভিক। রিয়া এই ছবি ভাগ করে নিয়ে লিখেছেন, “ছোট্ট ভাই আমার। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হল।”

Advertisement

সিবিআই ছাড়পত্র দেওয়ার পরে শৌভিক প্রথম বার মুখ খুলেছিলেন এই ঘটনায়। তিনি বলেছিলেন, “সত্যের জয় হয়েছে।” গত পাঁচ বছর পরস্পরের পাশে থেকেছেন ভাইবোন। পরস্পরকে প্রতিনিয়ত সাহস জুগিয়েছেন। এই পাঁচ বছরে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন রিয়ার মা-ও। কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রিয়ার এক বান্ধবী জানিয়েছিলেন, এই পরিস্থিতিতে রিয়ার মায়ের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গলা দিয়ে আওয়াজ বার হত না। মন্দিরে গিয়ে হাতজোড় করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকি তিনি দাঁড়িয়ে থাকতেন। সেই সময়ে ওঁরা শুধুই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করতেন।

সেই বান্ধবী আরও বলেছিলেন, “আমি দেখেছিলাম, ওঁরা কী ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ওঁদের মানসিক স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। রিয়া যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল তা অকল্পনীয়। আমারই ওদের দেখে অসহায় লাগত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement