rihanna

নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ, গলায় গণেশের লকেট, টুইট-বিতর্কের পর ফের চর্চার কেন্দ্রে রিহানা

হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠল তাঁর দিকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:১১
Share:

পপ গায়িকা রিহানা

নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ। গলায় ঝুলছে একটি হার। লকেটে গণেশের মূর্তি। আমেরিকায় বসে পপ গায়িকা রিহানা ঝড় তুললেন ভারতে। এর আগে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করায় সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এ বারে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠল তাঁর দিকে। টুইটার জুড়ে নিন্দার জোয়ার।

কী পোস্ট করেছেন রিহানা?

নিজের অন্তর্বাস সংস্থার জন্য ফোটোশ্যুট করেছেন রিহানা। মঙ্গলবার তার থেকেই একটি ছবি নিজের টুইটারে পোস্ট করেছেন পপ গায়িকা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঊর্ধ্বাঙ্গে কোনও পোশাক নেই। গলায় ঝুলছে গণেশের হার। নিম্নাঙ্গে রয়েছে বেগুনি রঙের স্যাটিনের ছোট প্যান্ট। গলার হার ছাড়াও কানে ও হাতে রয়েছে হিরের অলঙ্কার।

Advertisement

পপ গায়িকা রিহানা

ছবিটি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নেটাগরিকদের চোখ পড়েছে তাঁর প্রোফাইলে। মুহূর্তে ভাইরাল সে ছবি। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ তোলা হয়েছে রিহানার বিরুদ্ধে। কেউ লিখেছেন, ‘রিহানা! সৌন্দর্যের নাম করে আমার ধর্মকে ব্যবহার করা বন্ধ করুন! গলার চেনের তলায় একটি গণেশমূর্তি রয়েছে। আমাদের হিন্দুদের জন্য গণেশ এক পবিত্রতার প্রতীক’! কারও দাবি, ‘এ ভাবে গণেশের মূর্তি গায়ে দেওয়াটা ভীষণ আপত্তিকর! আমার প্রথম ভগবান ইনি। কোটি কোটি মানুষের প্রতি বছর গণেশ চতুর্থী উৎসব পালন করেন। তাঁদের জন্য পবিত্র আবেগ। দুঃখিত রিরি, আপনি আমাকে এবং আরও লক্ষাধিক মানুষকে নিরাশ করলেন এ ভাবে’!

গত ২ ফেব্রুয়ারি রিহানা একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেছিলেন টুইটারে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে লিখেছিল। রিহানা সেই টুইটের ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘এই বিষয়টা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলছে না কেন’? তাঁর টুইটের পর একে একে বহু আন্তর্জাতিক তারকা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়ান। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। সেই তালিকায় রয়েছেন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, মার্কিন লেখিকা আম্যান্ডা কের্নি, পর্ন তারকা মিয়া খালিফা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কমেডিয়ান হাসান মিনহাজ, অভিনেতা জন কুস্যাক প্রমুখ।

রিহানার বিরুদ্ধে উত্তাল টুইটার

কিন্তু রিহানার এই টুইটটি ভাল চোখে নেননি ভারতের বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। তাঁরা টুইট করে জানাতে থাকেন, এ ভাবে বাইরের দেশের মানুষ ভারতের নিন্দা করতে পারেন না। আন্তর্জাতিক জনমতকে ‘ভারত-বিরোধী’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। ভারতবর্ষের মানুষকে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। অজয় দেবগান, কর্ণ জোহর, অক্ষয় কুমার-সহ সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকরের মতো তারকারা ভিনদেশিদের বিরুদ্ধে এক জোট হন। আন্তর্জাতিক দুনিয়ার তারকাদের সঙ্গে কার্যত টুইট-প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন ভারত সরকার এবং এ দেশের তারকাদের একাংশ। সরকারের তরফে এমনকি, নতুন হ্যাশট্যাগ চালু করা হয় ‘#ইন্ডিয়াএগেনস্টপ্রোপাগান্ডা’।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন