আদেশ শ্রীবাস্তবের মতো সুরকারের কি মৃত্যু হতে পারে? তাঁর সৃষ্টিই তাঁকে শ্রোতাদের কাছে বাঁচিয়ে রাখবে। অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান, রীতেশ দেশমুখ বা কৈলাশ খের সকলেই জানেন এটাই সত্যি। সুরকার হিসাবে শতাধিক হিন্দি ছবিতে সুর দিয়েছিলেন আদেশ। এখানে বেছে নেওয়া হল জনপ্রিয় কয়েকটি।
মোরা পিয়া (রাজনীতি)
সেমি ক্নাসিকাল এই গানটি নিজেই গেয়েছিলেন আদেশ। বলিউডে এ ধরনের গান খুব বেশি শোনা যায় না। এই গানে পর্দায় দেখা গিয়েছিল রণবীর কপূর এবং ক্যাটরিনা কইফকে।
সে সাওয়া সাওয়া (কভি খুশি কভি গম)
২০০১। মুক্তি পেল ‘কভি খুশি কভি গম’। আদেশের সুরে ‘সাওয়া সাওয়া’-র ছন্দে নেচে উঠল গোটা দেশ। অমিতাভ বচ্চন, অলকা যাজ্ঞিক, সুনিধি চৌহান, উদিত নারায়ণ এবং সুদেশ ভোঁসলে গানটি গেয়েছিলেন।
সুনো না সুনো না (চলতে চলতে)
‘চলতে চলতে’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন শাহরুখ খান এবং রানি মুখোপাধ্যায়। আর যতীন-ললিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে ছবিতে সুর দিয়েছিলেন আদেশও। জনপ্রিয় হয়েছিল ‘সুনো না সুনো না’ গানটি।
গুমসুদা (চলতে চলতে)
‘চলতে চলতে’ ছবিতে একটি নাচের গান রাখার আবদার ছিল পরিচালকের। আর তা মাথায় রেখেই ‘গুমসুদা’ গানটিতে সুর দিয়েছিলেন আদেশ। পর্দায় শাহরুখের নাচ জমিয়ে দিয়েছিল ছবিটি।
চলি চলি ফির (বাগবান)
‘বাগবান’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আদেশ শ্রীবাস্তব। সেখানে অমিতাভ বচ্চন, অলকা যাজ্ঞিক এবং হেমা সরদেশাইয়ের গলায় তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল ‘চলি চলি ফির’ গানটি।
সোনা সোনা (মেজর সাব)
‘মেজর সাব’ ছবির ‘সোনা সোনা’ গানটি ২০০৮-এ বিয়ের গানের সেরার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। সেখানেও সুরারোপ করে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন আদেশ।
গুস্তাকিয়া হ্যায় (আঁখে)
১৯৯৩-এ ‘আঁখে’ ছবির ‘গুস্তাকিয়া হ্যায়’ গানের মুড বুঝে সুর দিয়েছিলেন আদেশ। শ্রোতাদের মন জয় করেছিন গানটি।