ঋষি কপূর। ছবি: ফাইল চিত্র
ফের টুইট বিতর্ক। আবারও শিরোনামে ঋষি কপূর।
রজনীকান্ত, গো-মাংস, হিলারি ক্লিনটনের পর এ বার ভারত-পাক ম্যাচ। আগামিকাল, রবিবার ওভালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এই ম্যাচ নিয়ে বরাবরের মতোই উন্মাদনা তুঙ্গে। তার আগে ক্রিকেটের সঙ্গে জঙ্গিবাদকে মিলিয়ে একাকার করলেন ঋষি। পাকিস্তান আগেই ফাইনালে পৌঁছেছে। গত বৃহস্পতিবার ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেমিতে জেতার আগেই বলি অভিনেতা টুইট করেছিলেন, ‘অভিনন্দন পাকিস্তান! তোমরা ফাইনালে? ওয়াও! আমাদের নীল রঙে তোমাদের বেশ ভাল লাগছিল। এ বার পুরোপুরি নীল হওয়ার পালা। প্রস্তুত থেকো। আমরা তোমাদের নীলে ধুইয়ে দেব।’
! ? ! ! ! !
এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। দু’দেশের ক্রিকেট পাগলদের মনে ভারতপাক ম্যাচের আগে এমন ভাবনা আসা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। ঋষি কপূরের মতো ক্রিকেটপ্রেমীই বা বাদ যান কেন। গোল বাধল যখন ভারত ফাইনালে ওঠার পর পাকিস্তানকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন ঋষি। সরাসরি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নাম নিয়ে লিখলেন ‘পিসিবি এ বার ক্রিকেট দল পাঠিও। আগের বারের মতো হকি বা খো খো দল নয়। কারণ ১৮ জুন ফাদার্স দে। সে দিন বাবার সঙ্গে খেলতে হবে তোমাদের।’ ( ) !
আরও পড়ুন, রবিবার পাকিস্তানকে দু’বার হারানোর ‘মওকা’ ভারতের
বলি অভিনেতার এমন টুইটের পর পাক সমর্থকরাও জবাব দিতে ছাড়লেন না। এ বার সেই কড়া আলোচনা সমালোচনা কাটাছেঁড়াকে সামলাতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ঋষি। জবাব দিতে যেন মাত্রা ছাড়ালেন বলিউড তারকা। এ বার তাঁর টুইট ‘আচ্ছা ছাড়ো। তোমরাই জেতো। হাজার বার জেতো। শুধু সন্ত্রাসবাদটা বন্ধ করো।’
এই টুইটের পরই তুমুল বিতর্ক শুরু হয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। সীমান্তপার থেকেও রীতিমতো চাঁছাছোলা ভাষায় টুইট ও রিটুইট করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। লেখা হয়, ‘শুধু মুসলমানরা সন্ত্রাসবাদী নন। এ ধরনের অশিক্ষিত ও জঞ্জাল মার্কা টুইট ঋষি কপূরের কাছ থেকে কাম্য নয়।’ যদিও এই টুইটের পর ঋষি কপূরের ‘ক্ষমা চাওয়া’ টুইটের অপেক্ষা করছিলেন অনেকে। যদিও তেমন কোনও টুইট তাঁর ‘টুইটারেত্তি’তে ধরা পড়েনি।