অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য।
কেরিয়ারের বয়স ১২। একযুগ পেরিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে হাতের তালুর মতো করে চেনেন বলে দাবি করেন। টিভির পর্দায় তাঁর অনায়াস যাতায়াত। তুলনায় ফিল্মে চলন কম। তিনি অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য।
‘মহাতীর্থ কালীঘাট’ ধারাবাহিকে ‘নিশি’র চরিত্রে এ বার দেখা যাবে রূপাকে। কেমন সে চরিত্র? রূপা বললেন, “জয় বাবা লোকনাথে আউট অ্যান্ড আউট একটা ব্ল্যাক ক্যারেক্টার করেছিলাম। সেটা খুব হিট হয়েছিল। এটাও ব্ল্যাক চরিত্র। এক তান্ত্রিক এই নিশির জন্ম দিয়েছেন। তান্ত্রিকের হাতের এই পুতুল যে কোনও মানুষকে সম্মোহিত করে ফেলতে পারে। এটার একটা জার্নি। আমি চরিত্রটা করতে গিয়ে চোখে একটা রহস্য রেখেছি। আর লাউড নয়, অথচ সাবলাইন একটা সেনসুয়ালিটি রয়েছে।’’
ধারাবাহিক ছাড়াও প্রচুর ননফিকশনে কাজ করেন রূপা। অরফিউজ মুখোটি পরিচালিত‘আকাশের পুলওভার’ নামে তাঁর অভিনীত একটি ছবিও তৈরি হয়ে রয়েছে। সেখানে ষাট উত্তীর্ণা এক মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অলকানন্দা রায়। তাঁর সঙ্গে রূপার কেমিস্ট্রি ধরা পড়বে ছবিতে।
আরও পড়ুন, ‘ও জানতেই পারল না, আমার ওকে মনে আছে…’
‘নিশি’র লুকে রূপা।
২০০৬-এ প্রথম মেগা ধারাবাহিক ‘রাত ভোর বৃষ্টি’তে অভিনয় করেন রূপা। সেই শুরু। এর মধ্যেই বদলে যেতে দেখেছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেক কিছু। ‘‘আগে ইন্ডাস্ট্রি অনেক ইনফর্মাল ছিল। এখন সেই অর্থেফর্মাল হয়েছে। অনেকটা কর্পোরেট। এখন অনেক নতুন মুখ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। আবার দ্রুত হারিয়েও যাচ্ছে। আমি জুনিয়রদের বন্ধুর মতো ভালবেসেছি। কখনও ওদের ডমিনেট করার চেষ্টা করিনি। তবে একটা ব্যাপার, এখন জুনিয়রদের হোমওয়ার্কটা খুব কম। ওরা লড়াইটা বুঝতে পারে না। কিন্তু ব্যতিক্রম সব জায়গায় রয়েছে’’ শেয়ার করলেন রূপা।
আরও পড়ুন, বুম্বাদার ডেডিকেশন আমাকে ইনসিকিওর করে দেয়, স্বীকারোক্তি ঋত্বিকের
প্রথম থেকেই স্পষ্টবাদী বলেই রূপাকে চেনেন তাঁর সহকর্মীরা। সে কারণেই হয়তো স্পষ্ট স্বরেহেসে রূপা বলতে পারেন, ‘‘কাস্টিং কাউচের অফার পাইনি কখনও।কিন্তু প্রচুর কাস্টিং মিস করেছি…।’’
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)