একসঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন এই ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা।
বন্ধ হয়ে গেল ‘সাত ভাই চম্পা’। ধারাবাহিকের ফ্লোরে দেখা গেল, সেট ভেঙে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিনিসপত্র।এতদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করা ইউনিটের সদস্যদের বন্ডিংও কি ভেঙে গেল? কেনই বা বন্ধ হয়ে গেল ধারাবাহিক? কলাকুশলীরা কী বলছেন?
ধারাবাহিকের নায়ক রাঘবেন্দ্র, মানে রুদ্রজিত মুখোপাধ্যায়কে ধরা গেল অন্য একটি শুটিং ফ্লোরে। তিনি বললেন, “এই ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ারই ছিল, কারণ এর গল্প শেষ হয়ে গিয়েছিল। সাত চাঁপা ভাইকে আমরা উদ্ধার করেছিলাম...পারুলের মা-বাবাকেও ফিরিয়ে এনেছিলাম।গল্পে আর নতুন কিছু দেখানোর ছিল না আর কি...তো...(বাক্য অসমাপ্ত রেখে তিনি হাসতে শুরু করলেন)। ছোটবেলা থেকে যে গল্প আমরা জানি...যে রাক্ষসীকে শাস্তি দেবে, সবাই আবার এক জায়গায় ফিরে আসবে...হ্যাপি এন্ডিং...ইত্যাদি...পুরো ব্যাপারটাই হয়ে গিয়েছিল...তবে ধারাবাহিকটা প্রায় দেড় বছর চলেছে, সবার সঙ্গে খুব ক্লোজ একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল...সোনালীদি, প্রমিতা, সুদীপ্তাদি, সম্রাটদা, ডিরেক্টরিয়াল টিম, ইউনিটের আরও কয়েকজন মিলে একদিন সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম...একটা বন্ডিং হয়ে গেছে তো, সম্পর্ক আছে সবার সঙ্গে।”
সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ধারাবাহিকের অন্যতম ভিলেন মণিমল্লিকা, জানালেন, ‘‘সাত ভাই চম্পা’-র চরিত্র, প্রতিদিনের কাজ, ইউনিটের সদস্যদের খুব মিস করছি...একটা অভ্যেসের মতো হয়ে গিয়েছিল...তো খুব বাজে ভাবেই মিস করছি আরকি। ‘সাত ভাই চম্পা’র পর আপাতত টেলিভিশনে কাজ না করারই ইচ্ছে। কারণ এখন আমি যা-ই করবো মনে হবে মণিমল্লিকা কথা বলছে। এই ধারাবাহিকের আগে দেড় বছর আমি টেলিভিশনে কাজ করিনি। আমারও অনেককিছু শেখার আছে, জানার আছে, নিজেকে এক্সপ্লোর করার আছে...এইজন্যই কোনও একটা ইনভলভমেন্টে যেতে চাইছি না। দেখা যাক কী ক্লিক করে।”
ধারাবাহিকের নায়িকা পারুল, প্রমিতা চক্রবর্তী বললেন, “খুব খালি খালি লাগছে...ধারাবাহিক চলার সময় সকাল থেকে রাত অব্দি শুটে থাকতাম। তারপর একটা সিস্টেম হয়ে যায় তো...রোজ শুটে যাওয়া আসা...এমনকি, পশুপাখি যাদের সঙ্গে পারুলের কথাবার্তা হত, বন্ধু ছিল, ওদেরও মিস করছি...সবাই তো ‘ভাই’ ছিল...আরশোলা ভাই, শুঁয়োপোকা ভাই, পিঁপড়ে ভাই, প্রজাপতি বন্ধু (শব্দ করে হাসলেন)...খুব মিস করছি। যদিও পশুপাখিরা রিয়েল ছিল না, কম্পিউটার গ্রাফিক্সে তৈরি করা হত। অভিনয় করতে করতে প্রিন্সেস প্রিন্সেস ফিল চলে এসেছিল রিয়েল লাইফেও (আবার হাসি)। সবাই পারুলকে খুব ভালবেসেছে, চরিত্রটা করে আমারও খুব ভাল লেগেছে। এতটা চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার পর সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে একটা স্পেস লাগে...এখন সেই স্পেসটার মধ্যেই আছি। একটা ধারাবাহিক শুরু হলে একদিন বন্ধও হবে। যদি টিআরপি-র দিক থেকে দেখি তাহলে যে খুব খারাপ ছিল সেটা নয়। গল্পের দিক থেকে নতুন কিছু দেখানোর ছিল না। এরপর চললে জোর করে ফেনিয়ে ফেনিয়ে গল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে হত। ঠিক সময়ে গল্প শেষ হয়ে সবার জন্যই ভাল হয়েছে।”
আরও পড়ুন, সারা আলি খানের চুমুর ভিডিয়ো ভাইরাল?
এতদিনের অভ্যাস কি সহজে যায়? একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার সময় তাই বের করে নিয়েছেন ইউনিটের সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়া ও মুঠোফোনে যোগাযোগ তো আছেই। আবার হয়তো অন্য কোনও ফ্লোরে একসঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে যাবেন তাঁরা। আবার শুরু হবে ‘সাত ভাই চম্পা’র স্মৃতি ঘেরা আড্ডা!
আরও পড়ুন, ট্রোলিং পজিটিভলি হ্যান্ডেল করুক মিমি, নুসরত
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)