সইফ আলি খানকে নিয়ে চিন্তিত একরত্তি জেহ্ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
একটু একটু করে নীরবতা ভাঙছেন সইফ আলি খান। ক্রমশ ছন্দে ফিরতে চেষ্টা করছে নবাব পরিবার। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা ১৬ জানুয়ারি তাঁর উপরে ঘটে যাওয়া হামলা নিয়ে নানা কথা বলেছেন। সেখানেই উঠে এসেছে তাঁর দুই শিশুপুত্র তৈমুর এবং জাহাঙ্গির আলি খানের কথা। সইফ জানিয়েছেন, বাবার নিরাপত্তা নিয়ে দু’জনেই চিন্তিত। বিশেষ করে তৈমুর। ছোট্ট জেহ্ বাবার নিরাপত্তার জন্য নিজের খেলনা প্লাস্টিকের ছুরিটিই তুলে দিয়েছে সইফকে। বাবাকে সাবধান করে বলেছে, “এ বার থেকে বিছানার পাশে এই ছুরিটা নিয়ে ঘুমিয়ো। যাতে আবার দুষ্টু লোক এলে তুমি তাকে মারতে পারো!”
তৈমুরের বয়স এখন ছয়। ভাইয়ের থেকে একটু হলেও পরিণত। তাই বাবার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে। যেমন, তৈমুরের মনে হয়েছিল ‘দুষ্টু লোক’টার সম্ভবত খুব খিদে পেয়েছিল। তাই সে তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। ওকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। সেই কথা সাংবাদিকদের জানিয়ে সইফ বলেন, “জেহ্-র ঘরে লোকটিকে দেখেও আমিও সে রকমই ভেবেছিলাম। ভুল ভাঙল, যখন ছুরি দিয়ে আমার শিরদাঁড়ায়, শরীরের অন্যত্র উন্মাদের মতো লোকটি কোপাতে শুরু করে। তখনই বুঝেছিলাম, কেবল খিদের তাড়নায় আমাদের বাড়িতে সে আসেনি। তাই ক্ষমা করার প্রশ্নই নেই।”
বরং এখন আফসোসে ভুগছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, সে রাতে ভাল করে বাড়ি সুরক্ষিত রাখেননি। রাখলে এত বড় অঘটন ঘটত না। যুগপৎ বিস্মিতও! ভাবতেই পারেননি, তাঁর বাড়িতে, তাঁর পরিবারের সঙ্গে এ রকম কিছু ঘটতে পারে। এ-ও জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক রাখার ছাড়পত্র আছে তাঁর। সে দিন হাতের কাছে সেটি থাকলে না জানি কী ঘটে যেত! তবে হামলার পর তৈমুর নাকি ভীষণ শান্ত হয়ে গিয়েছিল। বাবার হাত ধরে জানিয়েছিল, কোনও ভয় নেই। সে বাবার পাশে আছে। এর পরেই নাকি স্ত্রী করিনা কপূর খান তাকে সইফের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দেন। জেহ্ ধন্যবাদ জানিয়েছে তার ‘ন্যানি’ গীতাকে। বলেছে, “গীতা আব্বাকে বাঁচিয়েছে। আব্বা আমাকে।”