‘দু’কিলো ওজনের পরচুলা পরে ঘাড় ঘোরাতে পারতাম না’

নতুন ছবিতে তাঁর চরিত্রের লুকেই নজর কেড়েছেন। কেরিয়ার, সন্তানদের নিয়ে কথা বললেন সেফ আলি খান‘ছোটবেলায় খেলার ছলে অনেক ক্রিকেট কমেন্ট্রি করেছি।’

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৫
Share:

প্র: ছবিতে আপনার লুক তো একদম অন্য রকম। আলাদা কোনও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

Advertisement

উ: হ্যাঁ, ‘লাল কাপ্তান’-এর লুকটা জবরদস্ত। মাথায় প্রায় দুই কিলোগ্রাম ওজনের পরচুলা পরতে হয়েছিল। ঘাড় ঘোরাতে পারতাম না। তার সঙ্গে ছিল ভয়ানক মেকআপ। সকালে তাড়াতাড়ি উঠে সেটে যেতে হত। দু’ঘণ্টা লাগত যেতে। রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামে আমাদের শুটিং হত। ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ধৈর্য ধরে শুট করেছি। ছবির জন্য তরোয়াল চালানো এবং ঘোড়সওয়ারি শিখেছি। ঘোড়া চালাতে জানতামই। কিন্তু এই ছবির জন্য আরও দক্ষতার প্রয়োজন ছিল।

প্র: শুধু লুকের জন্যই কি ছবিটা বাছলেন?

Advertisement

উ: না। আমার চরিত্র, পিরিয়ড ফিল্ম আর লুক— তিনটে জিনিসই খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। পরিচালক নভদীপ সিংহ এবং প্রযোজক আনন্দ এল রাই যখন প্রথম আমাকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন, তখনই ভাল লেগে গিয়েছিল। এক দিকে মুঘল সাম্রাজ্য পতনের মুখে, অন্য দিকে ব্রিটিশরা ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে— এই সময়টার গল্প। আমার চরিত্র একজন বাউন্টি হান্টারের, যে পালানো অপরাধীদের ধরে শাস্তি দেয়। বদলে পুরস্কার পায়।

প্র: তৈমুর আপনার লুক দেখে কিছু বলেছিল?

উ: মুম্বইয়ে যখন ছবির প্যাচওয়র্ক করছিলাম, তখন তৈমুর আমাকে দেখে সারাক্ষণ মুচকি হাসছিল। সারা (আলি খান) খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করেছিল লুকটা।

প্র: সারার কেরিয়ার নিয়ে আপনার কী মত?

উ: আমি খুব খুশি। সারা খুব পরিশ্রমী এবং ফোকাসড। ওর বিনম্র স্বভাবের জন্য সকলেই ওকে খুব ভালবাসে। এই গুণ সারাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।

প্র: আপনার ছেলে ইব্রাহিমও কি সিনেমা করতে ইচ্ছুক?

উ: হ্যাঁ। ওর গতিবিধি দেখে তো তাই মনে হচ্ছে (হাসি)!

প্র: সম্প্রতি আপনি করিনা কপূর খানের রেডিয়ো শোয়ে গিয়েছিলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হল?

উ: বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে রেডিয়ো শোয়ে ক্যামেরাই বেশি ছিল! আমার নিজেরও সঞ্চালনার কাজ ভাল লাগে। যখনই কোথাও সঞ্চালনার কাজ করেছি, দর্শক আমাকে পছন্দ করেছেন।

প্র: আপনার তো ক্রিকেট কমেন্ট্রি করারও ইচ্ছে ছিল?

উ: সেটা ছোটবেলায়। এখন আর নয়। ছোটবেলায় খেলার ছলে অনেক ক্রিকেট কমেন্ট্রি করেছি। বাবা এতটাই কড়া ছিলেন যে, দীর্ঘদিন আমাদের বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না।

প্র: প্রযোজনা করছেন। পরিচালনায় আসার ইচ্ছে আছে?

উ: না। কারণ পরিচালক হতে গেলে অনেক কাজ করতে হবে। অনেক সময়েরও প্রয়োজন। আমাকে পরিবার আর বন্ধুদেরও সময় দিতে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন