Sayantika Banerjee

Sayantika Banerjee: এখন নির্বাচন হলে মানুষ আমায় এমনিই ভোট দিতেন, চাইতে হতো না: সায়ন্তিকা

ভোটযুদ্ধে হেরে গেলেও কথা রেখেছেন সায়ন্তিকা। করোনার বিরুদ্ধে অসম লড়াই লড়তে নানা ধরনের পরিষেবা চালু করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ১৯:৩১
Share:

করোনার বিরুদ্ধে অসম লড়াই লড়তে নানা ধরনের পরিষেবা চালু করেছেন সায়ন্তিকা।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেননি তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একজন বিধায়কের থেকে কোনও অংশে কম কাজ করছেন না এই উঠতি রাজনীতিবিদ। এ বার বাঁকুড়ার আচুলি অঞ্চলের বাদুলারা গ্রামের করোনা আক্রান্ত ২১টি পরিবারের দায়িত্ব নিলেন তিনি। তাঁদের অসুস্থতার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে দিলেন চাল, ডাল, মুড়ি, মশলার মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। আক্রান্তদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কিছু ওষুধের বন্দোবস্তও করে দিলেন অভিনেত্রী।

করোনার বিরুদ্ধে অসম লড়াই লড়তে নানা ধরনের পরিষেবা চালু করেছেন তিনি। দিন কয়েক আগেই বাঁকুড়ার মানুষের জন্য নিয়ে এসেছেন ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ পরিষেবা। নেটমাধ্যমে সায়ন্তিকার দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেই অক্সিজেন পৌঁছে যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের বাড়িতে। তবে এই পরিষেবা পেতে হলে রোগীর করোনা পরীক্ষার ফল এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা জানাতে হবে। এ ছাড়াও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা রান্না করতে পারছেন না, তাঁদের বাড়িতেও দুপুর এবং রাতের খাবার বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সায়ন্তিকা।

সায়ন্তিকার কথায়, “মাত্র ৭৩৫ ভোটে হেরেছি আমি। আর একটা পাড়া যদি আমার জন্য ভোট দিত, তা হলেই হয়তো আমি জিতে যেতাম। কিন্তু হেরে গিয়েছি বলে কি কাজ করব না? তবে জিতে গিয়ে ওই পদটা পেলে কাজ করতে অনেক সুবিধা হত। এখন কাজটা করতে অনেক বেশি মাথা খাটাতে হচ্ছে।” গত সপ্তাহে বাঁকুড়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অচেনা-অজানা এই রোগের ইঞ্জেকশন এনে দেওয়ার দায়িত্ব নেন সায়ন্তিকা। প্রচুর খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে বাঁকুড়ার জেলা শাসকের সাহায্যে সেই ইঞ্জেকশন রোগীর ঠিকানায় পৌঁছে দেন অভিনেত্রী। নিজের অঞ্চলে কোভিড আক্রান্তদের জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনাও করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কথা শুরু করে দিয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে। তাঁর কথায়, “আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ। এক একটি স্কুলকে কাজে লাগিয়ে যদি আমরা ২০-২৫টি শয্যার একটা হাসপাতাল তৈরি করতে পারি, তা হলে অন্তত কিছু মানুষ চিকিৎসা পাবেন। সেখানে অক্সিজেন এবং স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলব, যেখানে রোগীর আপৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব।”

Advertisement

চাল, ডাল, মুড়ি, মশলার মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিলেন সায়ন্তিকা।

গত শনিবার সকালে লেক গার্ডেনস অঞ্চলের ফুটপাতে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের হাতে জরুরি খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন অভিনেত্রী। একই সঙ্গে করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য দিয়েছেন মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। তাঁর কথায়, “আমার যাতায়াতের পথে আগে প্রত্যেক দিন ওই মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা হত। কখনও টাকা চাননি আমার থেকে। এটা সেটা কিনে দেওয়ার আবদার করতেন শুধু। এই বিপদের দিনে ওঁদের পাশে আমি না থাকলে কে থাকবে!” এর সঙ্গেই সেখানকার পথকুকুরদের জন্য নিজের হাতে রান্না করে নিয়ে আসছেন অভিনেত্রী।

রাজনীতির ময়দানে হারলেও মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন অভিনেত্রী। “এখন নির্বাচন হলে হয়ত আমাকে জেতানোর জন্য মানুষের কাছে অনুরোধটুকুও আর করতে হত না”, দৃঢ় বিশ্বাস অভিনেত্রীর কথায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন