ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (আইফা) মানেই চোখ ধাঁধানো ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, মুখরোচক গসিপ আর নতুন নতুন বিতর্কের উদ্ভাবন। জুলাইয়ের মাঝামাঝির সপ্তাহান্তে বলিউডি চাঁদের হাট বসেছিল নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। প্রথম সারির অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী এ বারের অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে তাতে বিতর্কের আগুনে এতটুকু ঘি কম পড়েনি।
কঙ্গনা-কাঁটা
মুম্বই থেকে সুদূর নিউ জার্সি! এতটা পথ পেরিয়েও কঙ্গনা-কাঁটা গলা থাকে নামেনি কর্ণ জোহরের। তাঁর অনুপস্থিতির পুরোদমে ফায়দা তুলতে কর্ণের সঙ্গে সুর মেলালেন বরুণ ধবন আর সেফ আলি খান। হাস্য-কৌতুক চরিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অ্যাওয়ার্ড নিতে মঞ্চে উঠেছিলেন বরুণ। তখন সেফ হঠাৎ বলেন, ‘‘তুমি এখানে এসেছ তোমার বাবার দৌলতে।’’ এতটুকু বিব্রত না হয়ে বরুণের চটজলদি পাল্টা, ‘‘তুমিও এখানে তোমার মায়ের সুবাদেই।’’ কর্ণও জোর কণ্ঠে কবুল করলেন, তাঁর পিছনেও ছিলেন তাঁর বাবা। এর পর তিন জনে সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘নেপোটিজম রক্স’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছরই কর্ণের চ্যাট শোতে এসে তাঁকে ‘স্বজনপোষণের ধ্বজাধারী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
তবে রঙ্গরসের এখানেই ইতি নয়। এর পর সেফ আর বরুণ দু’জনে মিলে গাইতে শুরু করেন কর্ণের ছবির বিখ্যাত গান ‘বোলে চুড়িয়া বোলে কঙ্গনা’। আর গানটাকে মোক্ষম সময়ে থামিয়ে কর্ণ টিপ্পনি কাটেন, ‘‘কঙ্গনা কথাটা না বললেই ভাল হয়।’’
মীরার ভুল টাইমিং
শাহিদ-পত্নী মীরা স্বামীর ছত্রছায়াতেই থাকতে ভালবাসেন। আইফার গ্রিন কার্পেটে দাঁড়িয়ে তাঁদের পিডিএ-র ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে ক্যামেরাকে এখনও নিজের বন্ধু করে তুলতে পারেননি মিশার মা। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ক্যাটরিনা শাহিদের কানে কানে কিছু বললেন। তক্ষুণি ক্যামেরা মীরার উপর ফোকাস করতেই তাঁর চাহনিতেও কৌতূহলের ঝলক দেখা গেল। আবার শাহিদের ঠিক পাশের সিটে না বসতে পারায় যখন ক্যামেরা মীরার উপর নজর রাখল, তখনও তাঁর চোখে-মুখে কিছুটা অস্বস্তি ধরা পড়ল। তবে মীরার অস্বস্তির আসলে কিন্তু কোনও কারণ নেই। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পরে তাঁকে লাকি চার্ম বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন শাহিদ। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ১৮ বছর বয়সে সব চেয়ে বড় কী দুষ্টুমি করেছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘১৮ বছরে একদমই ভাবিনি, এমন একজনকে বিয়ে করব যার বয়স তখন ছিল পাঁচ বছর (যখন শাহিদের আঠারো)।’’ বলাই বাহুল্য, শাহিদের আজ-কাল জুড়ে এখন শুধুই মীরার নাম-জপ।
আরও পড়ুন:
ক্যাটরিনার দ্বৈত উপস্থিতি
শাহিদ কপূরের হাতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য মঞ্চে ডাকা হয়েছে ক্যাটরিনাকে। এ দিকে ক্যামেরা যখন শাহিদের মুখে রোল করছে, তাঁর পাশেও আলো করে বসে আছেন ক্যাটরিনা। কী করে সম্ভব? ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে মিম-ট্রোলের রঙ্গ-তামাশা। এডিটিংয়ের গলদ শুধু নয়, আইফায় কর্ণ আর সেফের সঞ্চালনা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে বিস্তর। দু’জনের মধ্যে টিউনিংয়ের যে অভাব ছিল, তা বিভিন্ন সময়ে বারবার ফুটে উঠেছে ।