মাহির বিরুদ্ধে পারিবারিক আইনে মামলার প্রস্তুতি শাওনের

ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহির ‘বিয়ে বিতর্ক’ যেন আরও জটিল হতে চলেছে। নয়া ঘর-সংসারের সপ্তাহ পার হয়নি এখনও, তার আগেই দুই বাংলায় জনপ্রিয় নায়িকার গোপন বিয়ের কেচ্ছা-কাহিনিতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রি হই হই পড়ে গিয়েছে। নিত্যনতুন বিতর্কের বেড়াজাল যেন এখন থানা-পুলিশ টপকে খোদ আদালতের টেবলে জায়গা করে নিয়েছে।

Advertisement

কুদ্দুস আফ্রাদ

ঢাকা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ২২:২৯
Share:

ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহির ‘বিয়ে বিতর্ক’ যেন আরও জটিল হতে চলেছে। নয়া ঘর-সংসারের সপ্তাহ পার হয়নি এখনও, তার আগেই দুই বাংলায় জনপ্রিয় নায়িকার গোপন বিয়ের কেচ্ছা-কাহিনিতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রি হই হই পড়ে গিয়েছে। নিত্যনতুন বিতর্কের বেড়াজাল যেন এখন থানা-পুলিশ টপকে খোদ আদালতের টেবলে জায়গা করে নিয়েছে।

Advertisement

গত ২৪ মে সিলেটের বাসিন্দা মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। পরের দিনই মাহির পরিবারের তরফে ছোট্ট এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ের খবর জানানো হলে মাহির প্রথম স্বামী হিসেবে দাবি করে শাওন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে উভয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি আপলোড করেন। এর পর মাহি সাইবার ক্রাইমের ধারায় মামলা করেন।

মাহির তথাকথিত প্রথম স্বামী শাহরিয়ার শাওন শুধু নয়, তাঁর গোটা পরিবারের দাবি, মাহি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। শাওনের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁরা ভাবতেই পারেননি যে, ভবিষ্যতে এ রকম দিনও তাঁদের দেখতে হবে। আক্ষেপ করে শাওনের বড় চাচা আবুল হাসেম বলেন, “বিয়ের আগে বেশ কয়েক বার শাওনদের বাসায় এসেছেন মাহি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মূলত তাঁদের (মাহির) দিক থেকেই পীড়াপীড়ি ছিল এই বিয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত দুই পরিবার বসেই বিয়ের সিদ্ধান্ত পাকা করে। আর বিয়েটাও সম্পন্ন হয় শাওনের এক চাচাতো দাদার ঢাকার বড়িতে। বিয়ের পর শাওনদের বাড্ডার বাড়িতে মাহি আসা-যাওয়াও করেছে। শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে যেতে হত। তাই, বেশির ভাগ সময় মাহি তাঁদের উত্তরা বাড়িতেই থাকত।”

Advertisement

আবুল হাসেম জানান, বিয়ের পর পারিবারিক রীতি অনুযায়ী আমাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিমন্ত্রণেও অংশ নিয়েছেন মাহি ও শাওন। এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মাহি নিজের হাতে তাঁর দাদা-শ্বশুরের জন্য শরবতও বানিয়ে দিয়েছিল। অথচ সেই মাহিই এখন সব কিছু অস্বীকার করছে। শাওনের বড় কাকার কথায়, “এখনও মাহির প্রতি আমাদের স্নেহ রয়েছে। কষ্ট একটাই, সে সব অস্বীকার করছে। যদি চলে যেতে চায় স্বেচ্ছায় যেতে পারত। এত কিছু না করলেও চলত।”

এদিকে, মুসলিম পারিবারিক আইনে মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে শাওনের পরিবার। আগামী সপ্তাহে এ মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাওনের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাওনের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন জানান, মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী একজন নারী একটি বিয়ে করতে পারেন। আইন অনুসারে, প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন স্ত্রী। মাহি তা করেননি। তাই শাওনের পরিবারের প্রস্তাবে মামলার কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের রবিবার কিংবা সোমবার পারিবারিক আদালতে এ মামলা করা হবে। আইনগত দিক বিবেচনা করে মাহির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাওনের পরিবার।

এদিকে, আদালতে মাহি মামলায় গ্রেফতার শাহরিয়ার ইসলাম শাওন লিখিত ভাবে বলেছেন, “শারমিন আক্তার নীপা (মাহিয়া মাহি) তাঁর স্ত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যা মানহানিকর, অশ্লীল ও উস্কানিমূলক নয়।” অবশ্য এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মাহির দায়ের করা মামলায় পুলিশ শাওনকে গ্রেফতার করে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়। গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মাসুদুর রহমানের দাবি, শাওন যদি ভুক্তভোগী হন তা হলে আদালতের দ্বারস্থ হতেই পারেন। তবে পুলিশ আপাতত সাইবার ক্রাইম অপরাধে মাহির দায়ের করা মামলার তদন্ত করছে। সেখানে শাওন ছবি পোস্ট করে যে অপরাধ করেছেন তার প্রমাণ এরই মধ্যে পাওয়া গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন