Sreelekha Mitra

Sreelekha-Shasanka: শ্রীলেখাদিরা বসে কথা বলতে পারতেন, ভুল মেনে নেওয়ার পরও মারধর কেন? মামলা দায়ের শশাঙ্কের

শশাঙ্ক বলেন, ‘‘কুকুরছানাটিকে আমি মেরে ফেলিনি! হ্যাঁ আমি জানি, আমার দোষ রয়েছে। খেয়াল রাখতে পারিনি। তা বলে মারধর করবে?’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২১ ২১:৩৪
Share:

শ্রীলেখা এবং শশাঙ্ক

দত্তক নেওয়ার পর যত্ন না করায় মৃত্যু হয়েছে কুকুরছানাটির, রেড ভলান্টিয়ার শশাঙ্ক ভভাসারের বিরুদ্ধে এমনই দাবি তুলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এবং পথপশুপ্রেমীরা। সেখান থেকে বিতণ্ডা শুরু। বুধবার সকাল থেকে উত্তাল নেটমাধ্যম। শশাঙ্ক জানিয়েছেন, কয়েক জন পথপশুপ্রেমী তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে মারধর করেছেন।

Advertisement

চলতি বছরের ১৪ জুলাই পথপশুদের আশ্রয় দেওয়ার ভাবনা থেকেই কফি ডেটে যাওয়ার কথা নেটমাধ্যমে জানান শ্রীলেখা মিত্র। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অভিনেত্রীর ডাকে সাড়া দেন শশাঙ্ক। তিনি শ্রীলেখার শর্ত মেনে এক অনাথ পথপশুকে দত্তক নেওয়ার কথাও জানান। কিন্তু দেড় মাসের মধ্যে ঘটনার মোড় ঘুরেছে বিবাদের দিকে।

আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষ থেকে শশাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কুকুরছানাটিকে আমি মেরে ফেলিনি! হ্যাঁ আমি জানি, আমার দোষ রয়েছে। খেয়াল রাখতে পারিনি। ঘর থেকে বেরিয়ে যায় বাইরে। অন্য পা়ড়ার কুকুররা ওকে মেরে ফেলেছে। আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। সেটা স্বীকার করতে আপত্তি নেই আমার।’’ কিন্তু গায়ে হাত তোলার ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছেন না শশাঙ্ক।

Advertisement

সিপিএম-এর নেতার কথায় জানা গেল, তিনি বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু সেই অভিযোগে কার নামে কী বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি নন তিনি। শশাঙ্ক জানালেন, খুব তাড়াতাড়ি আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তার পর সব কথা জানাবেন নেটমাধ্যমে।

কী ঘটে বুধবার সকালে?

সারমেয়কে দত্তক নেওয়ার পর থেকে দু’জন পথপশুপ্রেমীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন শশাঙ্ক। তাঁর কথায় জানা যায়, তাঁদের এক জন মঙ্গলবার রাতে ফোন করেন শশাঙ্ককে। ঠিক হয়, তাঁর বাড়ি গিয়ে কথা বলবেন। সেই কথা মতো দক্ষিণেশ্বরে শশাঙ্কের বাড়ির কাছে পৌঁছন দু’জন মহিলা। সঙ্গে ছিলেন আরও চার জন পুরুষ। শশাঙ্কের অভিযোগ, কথা বলতে বলতেই শশাঙ্কের গায়ে হাত তোলেন তাঁরা। চড়, থাপ্পড় মারা শুরু হয়। পাড়ার লোকেরা এসে তাঁকে রক্ষা করেন। এই ঘটনার পরেই সরকারি হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান শশাঙ্ক।

শশাঙ্কের কথায়, ‘‘বসে কথা বলতে পারতেন তাঁরা। আমি ভুল করেছি। কুকুরছানার মৃত্যুতে আমিও ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু তা বলে ওরা এসে এত মানুষের সামনে আমাকে এ ভাবে মারলে সেটা মেনে নেব না। তাই আইনি পথে যাচ্ছি। এ বার আমার আইনজীবী যা বলবেন সেটাই করব।’’ তবে এ কথাও তিনি জানালেন যে শ্রীলেখার ব্যাপারে তিনি কোনও খারাপ কথা বলতে চান না। মানুষ হিসাবে তাঁকে সম্মান করেন তিনি। তবে তাঁর কথায়, ‘‘হয়ত এখন তিনি ভাবছেন ‘কফি ডেট’-এ যাওয়ার লক্ষ্যে আমি পথপশুকে দত্তক নিয়েছিলাম। কিন্তু তা একেবারেই সত্যি নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement