শেফালির কোন ইচ্ছেপূরণ হল না? ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ৪২-এ শেষ শেফালি জ়ারিওয়ালার জীবন। কী ভাবে মৃত্যু হল অভিনেত্রীর, এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। শনিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি পারিবারের কোনও বিবৃতিও। অথচ, মৃত্যুর ঘণ্টা পাঁচেক আগেও প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অকালমৃত্যুতে শেফালির সাধ থেকে গেল অপূর্ণ।
২০১৪ সালে অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শেফালি। প্রায় ১১ বছরের দাম্পত্যে নিঃসন্তান তাঁরা। জানা গিয়েছে, শেফালির ইচ্ছে ছিল সন্তান দত্তক নেওয়ার। একটি কন্যাসন্তান ঘরে আনতে চেয়েছিলেন তিনি। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছিলে শেফালি। জানিয়েছিলেন, তিনি মা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে তাঁর আকাঙ্ক্ষা, মানসিক যন্ত্রণার কথা বুঝেই উঠতে পারেননি পরাগ। পরে পরাগ নিজেও চেয়েছিলেন সন্তান দত্তক নিতে।
শেফালি বলেন, “একটি সন্তান দত্তক নিতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের সম্মতির প্রয়োজন। প্রথমে পরাগ আমার দিকটা বুঝতে পারেনি। পরে অবশ্য আমরা চেষ্টা শুরু করি। বরাবর ইচ্ছে একটা ফুটফুটে মেয়ে আসবে সংসারে। আমি বরাবর দেখছি আমার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক। সেখান থেকেই এই ইচ্ছে।”
শেফালি-পরাগ যত দিনে ঐক্যমত্যে পৌঁছে সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন, তত দিনে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনা অতিমারি। দত্তক গ্রহণ প্রক্রিয়া এমনিতেই দীর্ঘমেয়াদি। তাই শেষ ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেই চলে গেলেন শেফালি।
শেফালির প্রথম বিবাহও যন্ত্রণাদায়ক ছিল। মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেছিলেন গায়ক হরমিত সিংহকে। কিন্তু সেই সংসার সুখের হয়নি। শেফালি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, শারীরিক নির্যাতন না হলেও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন তিনি। তাই বছর কয়েকের মধ্যেই ভাঙে তাঁর ঘর। তার পর তিনি বিয়ে করেন ‘পবিত্র রিশতা’খ্যাত অভিনেতা পরাগকে। যদিও এর মধ্যে শেফালির সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লরও। ২০২১ সালে সিদ্ধার্থও আকস্মিক ভাবে মারা যান হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে।