ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শিল্পার। ছবি: সংগৃহীত।
গুলিতে মৃত্যু শিল্পা শিরোদকরের। ছবির শুটিং চলাকালীন মৃত্যু অভিনেত্রীর। এমনই একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন শিল্পার পরিবার, পরিজন ও অনুরাগীরা। তাঁরা পর পর ফোন করতে থাকেন অভিনেত্রীকে। কিন্তু সাড়া পাননি।
ঘটনা ১৯৯৫ সালের। ‘রঘুবীর’ ছবির শুটিং করছিলেন শিল্পা শিরোদকর। ছবিতে ছিলেন সুনীল শেট্টি, সুরেশ ওবেরয়, সুধা চন্দ্রন, অরুণা ইরানি-সহ আরও অনেকে। শুটিং-এর সময় খবর ছড়িয়ে পড়ে, গুলি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে শিল্পার। নিমেষে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। শিল্পার বাড়িতেও পৌঁছোয় এই খবর। সেই স্মৃতিচারণ নিজেই এক সাক্ষাৎকারে করেছেন শিল্পা।
অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি সেই সময়ে কুলু-মানালিতে ছিলাম। মোবাইল ফোন ছিল না। হোটেলের ল্যান্ডফোনে আমার বাবা ফোন করার চেষ্টা করছিলেন। আমি সুনীল শেট্টির সঙ্গে শুটিং করছিলাম। অনেকেই শুটিং দেখছিলেন। তাঁরা খবরটা দেখার পরে ভাবছিলেন, সত্যিই শিল্পাই শুটিং করছে তো!”
হোটেলের ঘরে ফেরার পরে অবাক হয়ে যান শিল্পা। অভিনেত্রী বলেন, “হোটেলের ফেরার পরে দেখি ২০-২৫টা মিসড কল এসেছে। আমার বাবা-মা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। খবরে বেরিয়ে যায়, আমি গুলি খেয়ে মারা গিয়েছি।”
পরে শিল্পা জানতে পারেন, ছবির প্রচারের জন্যই এই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রযোজক নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁকে। বিষয়টা খুব ভাল ভাবে গ্রহণ করেননি শিল্পা। তাঁর মনে হয়েছিল, প্রচারের জন্য একটু বেশি বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে আগে থেকে কোনও খবরও ছিল না শিল্পার কাছে।