জ়ুবিন গার্গের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কী বলছে? ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছিল, স্কুবা ডাইভিং নয়, বরং সাঁতার কাটতে গিয়েই জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জ়ুবিন গার্গের। শুক্রবার সেই গুঞ্জনে সিলমোহর পড়ল। খবর, সিঙ্গাপুর সরকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দিল গায়কের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গার্গের হাতে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, স্কুবা ডাইভিং করার সময় নয়, সিঙ্গাপুরের একটি দ্বীপে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মারা গিয়েছেন তিনি।
আরও খবর, সিঙ্গাপুর পুলিশ বাহিনি (এসপিএফ) প্রয়াত গায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তার উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রাথমিক অনুসন্ধানের একটি অনুলিপি ভারতীয় হাই কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুর পুলিশ জ়ুবিনের স্ত্রী গরিমার সঙ্গেও কথা বলে। প্রসঙ্গত, ভারত-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকী এবং ভারত ‘আসিয়ান’ পর্যটনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন গায়ক।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের প্রশাসন আরও জানিয়েছে, জ়ুবিনের মৃত্যু বিষয়ক পুলিশি তদন্ত এখনও চলছে। তাই তাঁর অনুরাগীদের এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনও ভিডিয়ো বা ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ না করার পরামর্শ দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, তদন্তের শুরুতেই গায়কের মৃত্যুর নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিল সিঙ্গাপুর সরকার।
জ়ুবিনের মৃত্যুতদন্ত জারি থাকার সুবাদে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিঙ্গাপুর পুলিশ। অন্য দিকে, অসম পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এর আগে গার্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উৎসবের আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেফতার করেছিল। বুধবার সঙ্গীতশিল্পী শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং গায়িকা অমৃতপ্রভা মহন্তকে গ্রেফতার করা হয়। অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত গায়কের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন মোট চার জন।
সিঙ্গাপুর সরকারের দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি প্রয়াত গায়কের স্ত্রী
গরিমা? তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে এর আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গায়কের
সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে, অর্থাৎ মৃত্যুর একদিন আগে। তখনও গায়ক তাঁকে দ্বীপে
বেড়াতে যাওয়ার কথা জানাননি। গরিমার ধারণা, বিষয়টি আচমকা ঠিক হয়। সেই সময়ে
ক্ষোভ উগরে তিনি বলেছিলেন, “যে মানুষটি দিনে ঘুমোন, তাঁকে এ ভাবে টেনে নিয়ে
যাওয়ার কি খুব দরকার ছিল? ওঁর
আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ কেন বাধা দেননি?” প্রয়াত শিল্পীর মৃগী
ছিল। তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতেন। সে কথা উল্লেখ করে গরিমা এ-ও জানান, জলের নীচে নাকি
খিঁচুনি শুরু হয়েছিল গায়কের। এ খবর তাঁকে দিয়েছিলেন জ়ুবিনের আপ্তসহায়ক নিজেই। তাঁর মতে, চিকিৎসাশাস্ত্রে এই কারণেই মৃগী রোগীকে জলের ধারে যেতে
নিষেধ করা হয়।