প্রস্মিতা পাল-অনুপম রায়ের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিয়ের বছর ঘুরল। সমাজমাধ্যমে ছবি দিয়েছেন অনুপম রায়-প্রস্মিতা পাল। ছবিতে তাঁরা বিপরীত রঙে রঙিন। প্রস্মিতা সাদা শাড়িতে স্নিগ্ধ। অনুপম লাল পাঞ্জাবিতে রক্তবর্ণ! “বাস্তবেও আমরা অনেক ক্ষেত্রে বিপরীত। আমি খুব মেছো। বাজার গেলে রকমারি মাছ কিনি। প্রস্মিতা মাছ থেকে দূরে! আমি সারা দিন গান নিয়ে থাকি। ও কর্পোরেট অফিসে চাকরির পাশাপাশি গান করে!” এই বৈপরীত্য নিয়েই হাতে হাত রেখে একটা বছর পার। সেই উপলক্ষে রবিবার যদিও বিশেষ কিছুর আয়োজন নেই রায় বাড়িতে। কেবল “মা-বাবা আসবে। আমরা চার জনে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটাব...” আনন্দবাজার অনলাইকে বলেছেন অনুপম। আগের দিন গানের অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। তাই বেশি আয়োজন করে উঠতে পারেননি।
বিয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কর্তা-গিন্নিতে একসঙ্গে গেয়েছেন, ‘ভালবাসি তোমাকে’। “বিয়ের পর থেকে দর্শক-শ্রোতারা বার বার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন, কবে আমরা একসঙ্গে গাইব। সেটাই এই সুযোগে ঘটে গেল”, বক্তব্য অনুপমের। বিশেষ দিনে গায়িকা স্ত্রীকে হলুদ রঙের শাড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি। শিল্পীসত্তা সরিয়ে কি ‘ব্যক্তি’ অনুপম বেরিয়ে এলেন? প্রস্মিতাও উপহার দিয়েছেন, সুতোর কাজ করা পাঞ্জাবি।
শিল্পী যুগলের এক বছরের দাম্পত্য কেমন, সুরেলা? ফিরে দেখতে বললে, কী বলবেন অনুপম?
অনুপম একটু সময় নিলেন। বললেন, “চাকরি করে কী করে রেওয়াজে বসে সেটাই তো বুঝে পাই না! দরকারে রান্নাও করে প্রস্মিতা। এই তো, কয়েক দিন আগে পোস্ত দিয়ে বিশেষ একটা পদ রাঁধল। খেতে বেশ হয়েছিল। ঘর-সংসার সামলানো, লোক-লৌকিকতা আছেই। সবই দেখি সামলে নিচ্ছে!” এক ছাদের নীচে থাকতে গেলে ঠোকাঠুকিও লাগে। অনুপমকে যদিও সকলে ‘ঠান্ডা মাথার মানুষ’ বলে জানেন...। প্রসঙ্গ তুলতেই অনুপমের মত, “ঠান্ডা মাথার কি না জানি না, তবে ঝগড়া করি না। প্রস্মিতাও করে না।” একটু থেমে জানালেন, গায়িকা স্ত্রী তাঁর তুলনায় স্পষ্টভাষী।
আপাতত এর বেশি কিছু বলতে রাজি নন। সংসার, সংঘাত তাঁকে বুঝি আরও বাস্তববাদী করেছে? অনুপমের তাই যুক্তি, “আরও কয়েক বছর যাক, তার পর বুঝতে পারব কতটা ভাল আছি।” তখন তিনি হয়তো প্রকাশ্যে আনবেন ভাল থাকার সেই গল্প।