নুসরতের নেপথ্যে শ্রেষ্ঠার কণ্ঠ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস’ নেটপাড়ার আলোচনার কেন্দ্রে। টলিপাড়ার এই নতুন ‘আইটেম’ গান প্রকাশ্যে আসতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া শ্রোতাদর্শকের। নুসরত জাহানের শরীরী হিল্লোলের নেপথ্যকণ্ঠ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। গানটি গেয়েছেন শ্রেষ্ঠা দাস। ‘বহুরূপী’ ছবিতে ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’ গেয়ে সাড়া ফেলেছিলেন গায়িকা। কিন্তু ‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস’ গেয়ে কি সেই একই প্রভাব ফেলতে পারলেন শ্রেষ্ঠা?
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ থাকলেও, পাশ্চাত্য সঙ্গীতই গাইতেন। তার পরেই আসে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থা থেকে গান গাওয়ার প্রস্তাব। গায়িকার স্বীকারোক্তি, এই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি, শ্রোতারা চিনছেন তাঁকে।
পর পর দুটি ছবিতে ‘আইটেম’ গান গাইলেন শ্রেষ্ঠা। এমন গায়িকা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাওয়া নিয়ে কি ভাবছেন তিনি? শ্রেষ্ঠা বললেন, “হ্যাঁ, চিন্তা তো হচ্ছে। মানসিক ভাবে মাঝেমধ্যে অস্বস্তিও হচ্ছে। শুধুই লোকজন ফোন করে ‘আইটেম’ গান গাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। খারাপ লাগা তো রয়েছে। কারণ, সব ধরনের গানই গাইতে চাই। কিন্তু এটা কাজ আমার। এই সুযোগটাও আমার কাছে মূল্যবান। গান গেয়ে পারিশ্রমিক পাচ্ছি। সেটা তো একটা বিষয় বটেই।”
‘রক্তবীজ ২’ ছবির এই গানটি বেঁধেছেন শিলাজিৎ মজুমদার ও জ়িনিয়া সেন। গানের জন্য শিলাজিতের থেকে বিশেষ কিছু পরামর্শও পেয়েছেন তিনি। পশ্চিমি গান গাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট এক ধরনের ‘হাস্কি টেক্সচার’ রয়েছে গায়িকার কণ্ঠে, যা এই গানের ক্ষেত্রে কিছুটা কাজে লেগেছে। তা তিনি নিজেই জানালেন। তবে একেবারে দেশি উচ্চারণে গান গাওয়া বেশ সহজ ছিল না। শ্রেষ্ঠা বলেন, “গানে বেশ কিছু ইংরেজি শব্দ রয়েছে। ‘অর্ডার’, ‘অ্যানিম্যাল’ এই শব্দগুলির যেমন উচ্চারণ হয়, আমি তেমনই করছিলাম। কিন্তু শিলাদা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, গানটা কিন্তু একটা গ্রামের মেয়ের কণ্ঠে শোনা যাবে। তখন সেই ভাবেই ইংরেজি শব্দগুলির উচ্চারণ করি। একটু বেশি হাঁ করে কথাগুলো বলতে হয়েছিল।”
‘ডাকাতিয়া বাঁশি’ গেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই গান প্রকাশ্যে আসার পরে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও হচ্ছে। তাঁর কণ্ঠ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কয়েকজন নেটাগরিক। তবে শ্রেষ্ঠার বক্তব্য, তিনি নিজের কাজটা করেছেন। নির্মাতারা যে ভাবে গাইতে বলেছিলেন, সেই ভাবেই গেয়েছেন। তার পরে সেই গানকে ছাড়পত্রও দিয়েছেন নির্মাতারাই। তাই গায়িকার কথায়, “এই ছবিতে আমার আরও গান রয়েছে। সেগুলি শুনলে অনেকে হয়তো বুঝতেই পারবেন না, একই শিল্পীর গাওয়া। সব ক’টিই গানের নির্মাতাদের অনুমোদন পেয়েছে। তাই ঘৃণাভরা মন্তব্য এলেও আমার কিছু করার নেই। আমি জানি, আমার কণ্ঠ অন্য রকমের। সেটার সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া একটু সমস্যার। তবে আমি আমার কাজটুকুই শুধু করেছি।”