Aayush Sharma

Aayush Sharma: ‘জীবনে ছায়া চাই না রোদ, সে সিদ্ধান্ত নিজের’

কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবিতে শ্যালক সলমন খানের সঙ্গে পর্দায় দ্বৈরথ আয়ুষ শর্মার।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ ০৭:২৮
Share:

আয়ুষ।

প্র: ‘অন্তিম’-এর পোস্টারে সলমন খানের মুখোমুখি আপনি। ছবিমুক্তির আগে মনের অবস্থা ঠিক কী রকম?

Advertisement

উ: আমার কাছে জার্নিটা স্বপ্নের মতো। অন্য অনেক অভিনেতাদের মতোই সলমন ভাইয়ের সঙ্গে এক ছবিতে কাজ করার জন্য উদ্‌গ্রীব ছিলাম। কোনও দৃশ্যে যদি ওঁর ক্যারিশ্মার দশ শতাংশের কাছেও পৌঁছতে পারি, তবে নিজেকে সফল মনে করব।

প্র: রুপোলি পর্দার সুপারস্টার না কি পরিবারের একজন—সলমন খানকে কী চোখে দেখেন আপনি?

Advertisement

উ: খুব বড় মনের মানুষ উনি। অনেকেই স্বপ্ন দেখতে শেখান। কিন্তু স্বপ্ন ভাঙলে পাশে থাকার হাত ক’জন বাড়ান? ভাই শুধু স্বপ্ন দেখান না, ব্যর্থ হলে পরে সামলেও নেন। আমি যখন প্রথম জানতে পারি যে, ছবিতে আমার সঙ্গে সলমন খান রয়েছেন, জিজ্ঞেস করেছিলাম, দর্শক কেন এই ছবিতে আমাকে দেখতে চাইবেন? ভাই বলেছিলেন, এ ভাবেই দর্শকের ভরসা জিতে নিতে হয়। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবিতেই সলমন খানের সামনে দাঁড়িয়ে তুমি অভিনয় করতে পারো... এটাই তো দর্শক দেখবেন।

প্র: খান পরিবারের জামাই হওয়ার সুবাদে আপনার পরিশ্রম কি খানিক আড়ালে রয়ে যায়?

উ: বড় গাছের ছত্রচ্ছায়ায় থাকলে আরাম তো পাবই। জীবনে ছায়া চাই না রোদ— সেই সিদ্ধান্তটা নিজের। সকলেই জানেন, সলমন ভাই আমার মেন্টর। তাই ওঁর মান রাখতে আমাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। প্রথম ছবি ছিল ভাইয়ের ব্যানারে, দ্বিতীয় ছবিতে উনি আমার প্রতিপক্ষ। এমন প্ল্যাটফর্ম ক’জন পান?

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরে চিন্তাভাবনায় কোনও পরিবর্তন এসেছে?

উ: আগে ভাবতাম, সুদর্শন হলেই নায়ক হওয়া যায়। কিন্তু প্রথম বার সেটে আসার পরে বোঝা যায়, জায়গাটা কত কঠিন! অভিনেতা হতে গেলে প্যাশন থাকা চাই। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতা সামলানোর ক্ষমতাও গড়ে তোলা দরকার।

প্র: কম বয়সে বিয়ে, দুই সন্তান— কেরিয়ারের সঙ্গে পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে চাপ অনুভব করেন?

উ: অর্পিতা (স্ত্রী) আমার প্রিয় বন্ধু। প্রথম সন্তান হওয়ার সময়ে আমার বয়স ছিল ২৪ বছর। বাবা হওয়ার দায়িত্ব বলুন বা অনুভূতি, বুঝতে সময় লেগেছিল। দ্বিতীয় বার জড়তা কেটে গিয়েছিল অনেকটাই। অভিনেতাদের জীবনে স্পটলাইট আজ আছে, কাল নেই। কিন্তু পরিবার সব সময়ে পাশে থাকবে।

প্র: এই ছবিতে আপনার অভিনয় সেলিম খানের ভাল লেগেছে। অন্য বিষয়ে পরামর্শ দেন উনি?

উ: প্রথম ছবি ‘লাভযাত্রী’ রিলিজ় করার সাত দিন পরে আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘তোমার মধ্যে অভিনয় করার ক্ষমতা আছে। ওটা বাঁচিয়ে রেখো। যদি সে ক্ষমতা না থাকত, তা হলে বলতাম, অভিনয় ছেড়ে দাও।’ ‘অন্তিম’ দেখে আমাকে ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ বলেছেন উনি। সেটা আমার কাছে খুব বড় পাওনা।

প্র: লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকা, পেশা নিয়ে অনিশ্চয়তা আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল?

উ: দ্বিতীয় ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে অনেক দিন বাড়িতে বসে ছিলাম। নিজের উপরে বিশ্বাস হারাইনি। ‘লাভযাত্রী’ নিয়ে অনেক সমালোচকের মতামত পড়েছি। কোন কোন বিষয়ে আমাকে নজর দিতে হবে, সেটার তালিকাও তৈরি করেছিলাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন