শ্রীলেখা মিত্রের প্রতিবাদ কি বাজি বিক্রি বন্ধ করতে পারল? ছবি: ফেসবুক।
আবাসনের বাইরে তো নয়ই। খোলা জায়গাতেও নয়। বহুতল আবাসনের ভিতরে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে আতশবাসি! তা-ও বিনা অনুমতিতে। এমনই অভিযোগ, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। তাঁর প্রশ্ন, “মানুষ কবে থেকে এত বোকা হল যে আবাসনের ভিতরে বাজি বিক্রি করছে?”
শ্রীলেখা বাড়ি বেহালার এক বহুতলে। রবিবার সন্ধ্যায় আচমকা তাঁর নজরে পড়ে, বাজি বিক্রি হচ্ছে আবাসনের নীচে, বদ্ধ জায়গায়! আনন্দবাজার ডট কম-কে তিনি বলেন, “আবাসনের বাইরে বা খোলা জায়গায় বাজি বিক্রি হলে কিছুই বলার ছিল না। আবাসনের ভিতরে বদ্ধ জায়গায় বিনা অনুমতিতে এই কাজ করা যায়?” এই প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন বাজির বিক্রেতার কাছে। তিনি অভিনেত্রীকে জানান, আবাসনের দেখভালের দায়িত্ব যাঁর উপরে, তিনি অনুমতি দিয়েছেন। শ্রীলেখার প্রশ্ন তুলেছেন, “কোনও ভাবে আগুনের ফুলকি এসে পড়লে আবাসনে আগুন লেগে যাবে। আমরা পুড়ে মরব। তার দায় কে নেবে?”
অভিনেত্রীর আরও ক্ষোভ, তিনি ছাড়া বাকিদের মুখে কুলুপ! বিপদ জেনেও কারও মুখে টুঁ শব্দ নেই। দেখছেন সবাই, এড়িয়েও যাচ্ছেন। অথচ, তিনি পথপশুদের খাওয়ালে আবাসনের সকলের ভীষণ অসুবিধা!
এর পরেই তিনি প্রথমে লালবাজার পেট্রল পুলিশ এবং পরে হরিদেবপুর থানায় খবর দেন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ওই আবাসনে এসে পৌঁছোন স্থানীয় থানার অফিসারেরা। তাঁরাও আবাসনের দেখভালকারীর কাছে অনুমতির প্রশ্ন তুললে তিনি নাকি পাল্টা হুমকি দেন! পুলিশ অফিসারের চাকরি খেয়ে নেওয়ার ভয় দেখান। পুরোটাই শ্রীলেখা ক্যামেরাবন্দি করে ভাগ করে নেন তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে। তাঁর অভিযোগ বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও। তিনি জানতে চেয়েছেন, উপরমহলের মদত না থাকলে আবাসনের সামান্য দেখভালকারীর এত সাহস হয় কী করে?
প্রশাসন কি বাজি বিক্রি বন্ধ করতে পারল? “ওরা সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু করত। পুলিশ ঘুরে যাওয়ার পর এখনও বাজির দোকান খোলেনি। নীল প্লাস্টিকে মোড়া পুরো দোকান।” শ্রীলেখা অবশ্য তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। তাঁর মতে, বাজিগুলোও সরিয়ে ফেলা উচিত। না হলে যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।