Sreemoyee Chattoraj

Kanchan-Pinky divorce: কাঞ্চনদা-পিঙ্কিদির সম্পর্ক বহু দিন নষ্ট, ছুতো খুঁজে আমার ঘাড়ে বন্দুক রাখা হল: শ্রীময়ী

কাঞ্চন-পিঙ্কির দাম্পত্যে পেরেক পুঁতেছেন তিনিই। এই অপবাদ দীর্ঘ দিনের। গত এক বছর ধরে মামলা চলছে। কী বলছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ?

Advertisement

শ্রীময়ী চট্টরাজ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২২ ১৫:১৭
Share:

কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীময়ী চট্টরাজ এবং পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।

কারণে-অকারণে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়েছে। আমার খারাপ লাগার শুরু তখন থেকে।

Advertisement

আমি চাই বা না চাই, তার পর থেকেই কাঞ্চন-পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বিচ্ছেদের আমি নাকি তৃতীয় বাহু! অবাক হয়েছি। আমার পরিবারের মাথা হেঁট হয়েছে। নিজের চোখে দেখেছি, দাম্পত্যে আগে থেকেই তিক্ততা ছিল। প্রায় ১০ বছর ওঁরা এক ছাদের নীচে থাকতেন না। তখন আমি কোথায় ছিলাম? সেই তিক্ততা যখন রাস্তায় নেমে এল তখন ‘শিখণ্ডী’ আমি! তার পরেও আন্তরিক ভাবে চেয়েছি, সব কিছু মিটে যাক। কাঞ্চনদার সঙ্গে কথা বলেছি। পিঙ্কিদিকেও এক ঘণ্টা ফোনে বুঝিয়েছি। গত এক বছর ধরে ওঁদের বিচ্ছেদের মামলা চলছে। না চাইলেও আমার কাঁধে দায়ভার! আমি নিজেকে দোষী ভাবি না।

ওশের জন্য বড্ড খারাপ লাগে। ছোটবেলায় আমার মা-বাবা আলাদা থাকলে আমারও তো কষ্ট হত। ওরও হচ্ছে। বেচারা মা বা বাবা কাউকেই বোঝাতে পারছে না। জোর গলায় দাবিও করতে পারছে না, ওর মা-বাবা দু’জনকেই চাই। সত্যিই তো, মা-বাবা দু’জন না থাকলে সন্তান কি পৃথিবীতে আসতে পারে?

Advertisement

আমার ফেসবুকের পাতা ওল্টালে সবাই দেখতে পাবেন, ২০১২ থেকে আমি কাঞ্চনদাকে চিনি। সে বছরেই আমি ধারাবাহিক ‘বাবুসোনা’-তে প্রথম অভিনয় করি। শখে অভিনয় করতে এসেছিলাম। ধীরে ধীরে ভালবেসে ফেলেছি জগৎটাকে। তার পর থেকে আমিও বিনোদন দুনিয়ার একজন। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার খুব কম বন্ধু। হাতেগোনা লোকের সঙ্গে মিশি, কথা বলি। বাবা-দাদা-কাকা কেউ নেই। এ সব আমার পরিবারও জানে। তার পরেও এত মিথ্যে অপবাদ! আমার মা-বাবা আস্তে আস্তে বিষয়টি বুঝেছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের মেয়ে খারাপ কিছু করতেই পারে না।

আমিও কখনও কারও খারাপ চাইনি। কাঞ্চনদা-পিঙ্কিদির দাম্পত্য মজবুত হলে যতই তৃতীয় ব্যক্তি আসুক, সেই সংসার ভাঙত না। নিজেদের ঘর না সামলে পরকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ আছে? আমি তাই যেমন ছিলাম তেমনই থাকব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন