শ্রীনন্দা
মহালয়া মানেই দেবীপক্ষ শুরু। আর তার মানেই পুজো একদম দোরগোড়ায়। এ দিন বাঙালি রেডিয়োয় যেমন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের পাঠ শুনবেন, তেমনই টেলিভিশনের পর্দায় দুর্গার অসুরদমনও দেখবেন। প্রত্যেক চ্যানেলই নিজের মতো করে অনুষ্ঠান সাজিয়েছে।
একটি চ্যানেল ‘দুর্গতিনাশিনী দুর্গা’ পরিবেশন করছে। এখানে দেবীর চণ্ডী অবতারের উপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চণ্ডিকা, চামুণ্ডা, মহালক্ষ্মী, মহামায়ার অবতারে দেখা যাবে চ্যানেলের বিভিন্ন ধারাবাহিকের অভিনেত্রীদের। ‘দুর্গতিনাশিনী দুর্গা’য় রয়েছেন নেহা অমনদীপ, তৃণা সাহা, স্বস্তিকা দত্ত, রুশা চট্টোপাধ্যায়। আর দেবী মহামায়ার ভূমিকায় শ্রীনন্দা শঙ্কর।
অন্য এক চ্যানেল বাংলার লোকসংস্কৃতির সঙ্গে মহিষাসুরমর্দিনীকে মিলিয়েছে। সেখানে দুর্গা কখনও সুন্দরবনের বনদেবী, কখনও পুরুলিয়ার মিষ্টি একটি মেয়ে। আবার দেবীর ভয়াল রূপও আছে। লোকনাথের চোখ দিয়ে দুর্গার নানা রূপ এবং অসুরদমন বর্ণনা করা হচ্ছে এখানে। বিভিন্ন ধারাবাহিকের প্রথম সারির অভিনেত্রীরা এক একটা ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। প্রমিতা চক্রবর্তী, ঊষসী রায়, দিয়া মুখোপাধ্যায়, শ্রেয়সী রায়, তিয়াষা রায়কে দেখা যাবে। পার্বতী ও মহিষাসুরমর্দিনী করছেন দিতিপ্রিয়া রায়। ওই চ্যানেলই বাচ্চাদের জন্য অ্যানিমেটেড মহালয়া দেখাবে।
আর এক চ্যানেলে ‘জয়ং দেহি’ অনুষ্ঠানটি দুর্গা ও অসুরের পরিচিত লড়াই দিয়ে শুরু হবে না। এখানে অনুষ্ঠান শুরু হবে মনসা ও চণ্ডীকে দিয়ে। চণ্ডী মনসাকে তাঁর ছেলের কুকর্ম সম্পর্কে সাবধান করেন এবং মনসার সব শক্তি কেড়ে নেন। মনসা ব্রহ্মার সহায় হলে তিনি মনসাকে বলেন, কী ভাবে রাজা সুরথ শক্তির আরাধনা করে শত্রুকে দমন করেছিলেন। মনসা চণ্ডীর আরাধনা করেন এবং চণ্ডী বর্ণনা করেন তাঁর শক্তিরূপ। চাঁদনী সাহা মনসার চরিত্রে এবং অদিতি চট্টোপাধ্যায় চণ্ডীর চরিত্রে অভিনয় করবেন। তাঁরা ‘মনসা’ ধারাবাহিকেও এই দুটি চরিত্রেই অভিনয় করেন।