—ফাইল চিত্র।
মুম্বই পৌঁছল শ্রীদেবীর দেহ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিশেষ চার্টার্ড বিমানে মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছয় তাঁর দেহ। রাত ১০টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে তাঁর দেহ বের করা হয়। তারপর গ্রিন করিডরের মাধ্যমে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ লোখণ্ডওয়ালায় ‘ভাগ্য’ বাংলোয় পৌঁছয় শ্রীদেবীর দেহ। রাতভর এখানেই রাখা থাকবে দেহ। শ্রীদেবীর পছন্দের সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা বাংলো।
আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার তাঁর দেহ রাখা হবে মুম্বইয়ের সেলিব্রেশন স্পোর্টস ক্লাবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবে বলিউড। শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সকল অনুরাগীরাও। বেলা সাড়ে ১২টার সময় সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে ভিলে পার্লে সেবাসমাজ শ্মশানে। সেখানেই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, বিমানবন্দরের বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল মুম্বই পুলিশ। বিমানবন্দরে পৌঁছন অনিল কপূর এবং সস্ত্রীক অনিল অম্বানী। বনি কপূরের সঙ্গে রয়েছেন অর্জুন কপূর এবং সঞ্জয় কপূর। প্রথমে ঠিক হয়, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করা হবে তাঁর দেহ। কিন্তু ৮ নম্বর গেটের বাইরে প্রচুর ভিড় জমে যায় অনুরাগীদের। সে কারণেই সিদ্ধান্ত বদলে পুলিশ বিমানবন্দরের পিছনের অন্য একটি গেট দিয়ে তাঁর দেহ বের করে। তবে পরিবারের অন্যান্য লোকেরা এই ৮ নম্বর গেট দিয়েই বের হন।
আরও পড়ুন: শ্রীদেবীর মৃত্যুরহস্য নিয়ে জল্পনায় মজে কলকাতা
গত শনিবার রাতে দুবাইয়ের জুমেইরা এমিরেটস টাওয়ার্স হোটেলে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় শ্রীদেবীকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। কিন্তু, পরে ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়, আকস্মিক ভাবে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর পরেই জটিলতা বাড়ে। শ্রীদেবীর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে না তুলে দিয়ে গোটা মামলাটি সরকারি আইনজীবীর হাতে তুলে দেয় দুবাই পুলিশ। প্রায় তিন ধরে শ্রীদেবীর দেহ মর্গেই ছিল।
শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনার জন্ম হয়। অবশেষে সমস্ত মামলা বন্ধ করে এ দিন দুপুরেই তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।