রাতের বেলায় কী করেন বলিউডের নায়কেরা?
সে নিয়ে একটু কান পাতলেই চারদিক থেকে উড়ে আসবে হরেক কথা। তবে, শাহরুখ খান, অভিষেক বচ্চন, রণবীর সিংহ, অর্জুন কপূর, উদয় চোপড়া আর বোমান ইরানির ব্যাপারটা কিছুটা আলাদা। ওঁরা সবাই মিলে ইদানীং মেতে রয়েছেন একটা ‘বিশেষ রাত’ কাটাবেন বলে! সেখানে যা হবে, নিজেদের মধ্যে! সুন্দরীদের বাদ দিয়ে সেই রাত শুধুই উদযাপন করবে বাঁধনছেঁড়া পৌরুষ।
হয়েছে কী, পারিবারিক শাসনের চাপ সামলাতে সামলাতে বোধহয় বড্ডই হাঁফ ধরে গিয়েছে কিঙ্গ খানের। হবে না-ই বা কেন! এই তো সে দিন প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে গভীর রাতে নিজের অফিসে বসে একটু মনের ভার হালকা করছিলেন নায়ক, দেখ না দেখ হানা দিয়ে সব চৌপাট করে দিলেন গিন্নি খান। তার পর ব্যাপারটা নিয়ে সে কী হইচই! তাই, এ বার আর কোনও সুন্দরী নয়। শুধুই ছেলেরা আর বলিউডের রাজার রাত।
কিন্তু, এ রকম লাগামহীন আনন্দেও কি আর পরিবারের কোনও নজরদারি-ই রইবে না?
সেই জন্যই তো কিঙ্গ খান তাঁর পছন্দের ছেলেদের সঙ্গে বেরোচ্ছেন ‘ফিফা নাইট আউট’-এ। এটাই এখন জেন-ওয়াইয়ের ট্রেন্ড। ব্যাপারটা আর কিছুই নয়— বন্ধুদের সঙ্গে খেলব বলে ‘ফিফা’ ভিডিও গেমটাকে বগলদাবা করে বেরিয়ে পড়া বাড়ি থেকে! মনে ধরায় এই ট্রেন্ডের জোয়ারে গা ভাসালেন বাদশাও!
বাদশা আর বলিউডের নায়কেরাও তাই এখন ঘরে রয়েছেন এক্কেবারে সুবোধ সুশীল অবতারে! শুধু টুইটারে চলছে লাগাতার খুনসুটি। সোমবার যেমন জুনিয়র বচ্চনকে টুইট করে জানালেন বাদশা, “আমি কিন্তু তোমার উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি ভাইটি! ওই রাতটার কথা ভেবে নিজেকে একটু ফিট রাখো তো! ভুলভাল খাওয়া কমাও। আর একটু শরীরচর্চায় মন দাও!”
ভাইটিও তেমনই! দাদার টুইট পেয়েই তিনি না কি ছুটেছিলেন জিমের দিকে। আর আকারে-ইঙ্গিতে ওই টুইট করেই জানিয়েছিলেন, বাদশাও যেন নিজের হাঁটু দু’ খানিকে সামলে রাখেন! এখনও যে হইচইয়ের রাত আসেনি!
বোঝো কাণ্ড! না জানি কী বলতে চাইছেন তাঁরা এ সব টুইট-কচালির আড়ালে! এমনকী, ওই বিশেষ রাতটির জন্য বলিউডের ‘হট হাঙ্ক’ রণবীর সিংহকে তালিমও দিতে চান শাহরুখ আর অভিষেক।
তা, রণবীর অবশ্য কম যান না। খোলাখুলিই টুইট করে জানিয়েছেন ছেলে, “ইয়াদ করো উও রাত, এবি! বেশি দেরি আর নেই— আমি আর আমার পার্টনার বোমান ইরানি তোমাদের পুরো বসিয়ে দেবো!” টুইট শেষে একটা ‘আউচ’ জুড়ে দিতেও ভোলেননি রণবীর।
তবে, অভিষের মোটেও ভাল ভাবে নেননি রণবীর আর বোমান ইরানির জুটিটাকে। দেখা গেল, বোমান ইরানিকে কেউ স্পর্শ করলেই তিনি কাতর হয়ে পড়েন। জুনিয়র বচ্চনের টুইটেই রয়েছে তার প্রমাণ— “এই, বোমানের গায়ে হাত দিবি না!”
আর বাকিরা? তাঁদের কেন টুইটারে কোনও সাড়াশব্দ নেই?
হয়ত সাবধানের মার নেই বলেই! আর কী!