প্রতিযোগিতা ততটা জমল না

আগের বার বরুণের সাজানো বাগানে দমকা হাওয়া হয়ে এসেছিলেন সিদ্ধার্থ।

Advertisement

পারমিতা মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০০:০১
Share:

ছবির মতো ক্যাম্পাসে ডিজ়াইনার পোশাক আর দামি গাড়ির মেলা! দেহরাদূনের সেন্ট টেরেসা কলেজে আপনাকে স্বাগত। ঠিকই ধরেছেন, সাত বছর আগের কর্ণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর (২০১২) সেই কলেজটির সঙ্গে সিকুয়েলের এই ক্যাম্পাসের তেমন কোনও তফাত নেই। যদিও ডিনের জায়গায় এ বার ঋষি কপূরের বদলে দেখা যাবে সমীর সোনিকে। আগের বারের মতো এ বারও স্টুডেন্টদের পাখির চোখ সেই ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর পুরস্কারটি জেতা। তবে এ বারের লড়াইটা সেন্ট টেরেসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নয়। প্রতিযোগিতাটি আন্তঃকলেজ। কলেজের হয়ে ‘ডিগনিটি ট্রফি’ হাতিয়ে নিতে পারলেই মসৃণ হবে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ হওয়ার পথ।

Advertisement

আগের বার বরুণের সাজানো বাগানে দমকা হাওয়া হয়ে এসেছিলেন সিদ্ধার্থ। এ বার সেন্ট টেরেসার কলেজ অলরাউন্ডার মানব রনধাওয়ার (আদিত্য শীল) নিশ্চিত জয়ের পথে কাঁটা হয়ে এন্ট্রি নেয় মুসৌরির পিশোরিলাল চমনদাস কলেজের ‘স্টুডেন্ট’ রোহন (টাইগার শ্রফ)। নাচ থেকে শুরু করে কবাডি, সবেতে সে একাই একশো! তবে স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার হওয়া তাঁর লক্ষ্য মোটেই নয়। ছোটবেলার ভালবাসা মৃদুলা চাওলার (তারা সুতারিয়া) পিছু নিয়েই সেন্ট টেরেসায় ভর্তি হয় সে। এ দিকে কলেজে রোহনের জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে রয়েছে আরও একটি চরিত্র, তথা স্টুডেন্টদের নয়া ব্যাচের অন্যতম সদস্য শ্রেয়া (অনন্যা পাণ্ডে)। শ্রেয়া মানবের বোন। যদিও তাঁদের মধ্যে একেবারেই বনে না।

কিন্তু আগেই বলেছি, প্রতিযোগিতাটি আন্তঃকলেজ। ফলে সেন্ট টেরেসারই দুই ছাত্রের মধ্যে খেতাব জেতার প্রতিযোগিতা হওয়া কখনওই সম্ভব নয়। এখানেই টুইস্ট। নানা নাটকীয় মোড় পেরিয়ে সেন্ট টেরেসা থেকে গলাধাক্কা খেয়ে ফের পিশোরিলাল কলেজে ফিরে যেতে হয় রোহনকে। শুরু হয় ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ হওয়ার লড়াই। তবে এতটা অবধি পৌঁছতে গোটা প্রথমার্ধ লেগে যায়। ফলে মাঝেমাঝে ছবির গতি খানিক শ্লথ মনে হতেই পারে। চিত্রনাট্যটি গতে বাঁধা। তবে কর্ণ জোহরের ট্রেডমার্ক ‘ক্যান্ডি ফ্লস রোম্যান্স’ দেখতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা খুব একটা নিরাশ হবেন না। যদিও প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়ার মতো শেষ হয়ে যায় ছবিটি।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টু্ পরিচালনা: পুনিত মলহোত্র অভিনয়: টাইগার শ্রফ, অনন্যা পাণ্ডে, তারা সুতারিয়া ৪/১০

ছবির গান শ্রুতিমধুর নয়। আগের ছবির সঙ্গে তুলনা বৃথা। সম্পাদনার ক্ষেত্রেও খামতি নজরে আসে, যার জেরে ছবির দৈর্ঘ্য অযথা বেড়ে গিয়েছে। তবে এই ছবির মাধ্যমে নিজেকে আরও এক বার প্রমাণ করলেন টাইগার। নাচ তো বটেই, বডি এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়েও যে তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন, তা স্পষ্ট। বলতে গেলে তিনি একাই তাঁর বলিষ্ঠ কাঁধে ছবির ভার বয়ে নিয়ে গিয়েছেন। দুই নবাগতা অভিনেত্রীর মধ্যে তারাকে খানিকটা হলেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন অনন্যা। কর্ণের ছবিতে চমক যে থাকবে, তা স্বাভাবিক।

এ বারেও ছিল। ‘দ্য জওয়ানি সং’ গানের মধ্যে হলিউড তারকা উইল স্মিথের এক ঝলকই হল সেই চমক!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন