মন্দিরে পাশাপাশি দেব-শুভশ্রী। ছবি: ফেসবুক।
অনুরাগীদের প্রতীক্ষা সার্থক। বুধবার ফের যুগলে দেখা দিলেন দেব-শুভশ্রী। নৈহাটির বড়মায়ের মন্দিরে উপস্থিত হলেন। লাল পাঞ্জাবি-পাজামায় সেজেছেন ‘ধূমকেতু’র নায়ক। নায়িকা একই ভাবে লাল শাড়ি, সোনার গয়নায় সুন্দরী। পুজোর আগে দেবীমূর্তির সামনে পাশাপাশি বসেছেন তাঁরা। পুজোর সরাসরি সম্প্রচার দেখে ফের জুটির প্রেমে পড়েছেন দুই তারকার অনুরাগীরা।
ধূপ-ধুনোর ধোঁয়ায় আবছা মন্দিরপ্রাঙ্গণ। লাল পাড়, হলুদ বেনারসি শাড়ি বড়মায়ের পরনে। তাঁর সামনে সাদা-কালো পরিচ্ছন্ন মেঝেয় আসন পেতে বসেছেন ছবির পরিচালক, প্রযোজক, নায়ক-নায়িকা, আবহ সঙ্গীতকার। কিন্তু এরই মধ্যে দেবকে দেখা যায়, শুভশ্রীর দিকে ফিরে আলাপচারিতায় ব্যস্ত রয়েছেন। সরাসরি সম্প্রচার দেখতে দেখতে মন্তব্যের বান ডেকেছে অনুরাগীমহলে। তাঁদের, নায়িকার মুখে নাকি ছবিমুক্তির আনন্দ উছলে উঠেছে।
বড়মায়ের কাছে প্রার্থনায় টিম ‘ধূমকেতু’। ছবি: ফেসবুক।
পুরোহিত হাতে ফুল দিতেই অঞ্জলি দেন যুগলে। সঙ্গী গোটা দল। আরতি করেন। পাশে দাঁড়িয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। পুজো মিটতেই শান্তির জল ছড়িয়ে পড়ে প্রত্যেকের মাথায়। পুরোহিত দেব-শুভশ্রীর কপালে এঁকে দেন সিঁদুরের মঙ্গলটিকা। জোড় হাতে জুটিতে ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। উপস্থিত বাকি পুরোহিতেরা তখন মনোযোগী দর্শক।
মন্দিরে দেবীদর্শনের পর দেব এবং তাঁর পর্দার ‘দেবী’ ছাদে। নায়কের হাত তখন নায়িকার মুঠিতে ধরা! বাইরে জনজোয়ার। ‘দেব-দেবী’কে এক ঝলক দেখার জন্য ব্যাকুল সবাই। নায়ক-নায়িকাকে খোলা ছাদে দেখে উল্লাস বাঁধনহারা। জনগর্জন ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। প্রত্যেকের মুখে শ্লোগান, ‘দেশু’। লোকের ভিড়ে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে গিয়েছে গাড়ি।
এই জনজোয়ার কি একটুও আগাম ভরসা জোগাল যুগলের মনে? জানা নেই। তবে এ
দিন তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত। কখনও দেব হাত নেড়েছেন ভক্তদের উদ্দেশে। কখনও হাতের
মুদ্রায় অনুরাগীদের উদ্দেশে ভালবাসা এঁকে দিয়েছেন। ট্রেলারমুক্তির দিন নজরুল
মঞ্চে একসঙ্গে দেখা দিয়েছিলেন দু’জনে। ছবিমুক্তির ঠিক আগের দিনও ভালবাসার আঁচে নিজেদের সেঁকে
নিলেন দেব-শুভশ্রী।