শুভশ্রী ও সোহম। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ
নায়িকারা নাকি লেট করেন। কোথায় কী, নায়কই সকলকে অপেক্ষা করিয়ে রাখলেন! আনন্দ প্লাসের ফোটোশ্যুটের জন্য শুভশ্রী একদম ঠিক সময়ে হাজির। সোহম আসতেই বলে উঠলেন, ‘‘সব জায়গায় আমি ওকে বাঁচিয়ে দিই। এখানেও। সিনেমাতেও।’’ অভিজিৎ গুহ-সুদেষ্ণা রায় পরিচালিত ‘দেখ কেমন লাগে’তে সোহম-শুভশ্রী পরদায় যেমন খুনসুটি করেছেন, বাস্তবেও দু’জনে সারাক্ষণ তাই করে গেলেন। ট্রেলার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ছবিটা পুরোদস্তুর মজার। কিন্তু নামটা ‘দেখ কেমন লাগে’ কেন? ‘‘এটা ছবির জন্য একদম যথাযথ একটা নাম। পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘দেখ কেমন লাগে’র মানেও বদলে যায়,’’ বললেন শুভশ্রী।
নায়িক-নায়িকা কাউকে ‘দেখ কেমন লাগে’ বলতে চান? ‘‘যারা এক সময় আমাকে বলেছে বা এখনও বলছে, তাদের। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আছে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে তো অনেক খারাপ ব্যবহার পেয়েছি,’’ জবাব সোহমের। শুভশ্রী অবশ্য একেবারে সেফ সাইডে খেললেন, ‘‘আমি কাউকে কিচ্ছু বলতে চাই না। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই।’’
গল্পে শুভশ্রী বেশ প্যাঁচে ফেলেছেন সোহমকে! নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো যাকে বলে। তবে নায়িকা এ বারেও সাবধানী। বললেন, ‘‘কারও পিছনে ওটুকু সময়ও নষ্ট করতে চাই না।’’ আর সোহম? তাঁকে অবশ্য তাঁর ছেলেই নাকে দ়়ড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে। ‘‘ছেলেই ঘোরায় আমাকে। রোজ সকালে সাড়ে পাঁচটায় উঠে পড়ে। তার পর আমাদের দু’জনের খেলা শুরু হয়। ন্যাপি বদলানো থেকে খাওয়ানো সব করতে পারি,’’ হাসতে হাসতে জবাব নায়কের।