‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে অকপট শুভ্রজিৎ মিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয়তাবাদের মোড়কে রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রণোদিত ছবি তৈরি হচ্ছে ইদানীং, এমন অভিযোগ বার বার উঠেছে বলিউডে। অভিযোগ উঠেছে, এমন ছবিতে কেন্দ্রীয় সরকার নাকি বিশেষ সহায়তা করে থাকে। যেমন ঘটেছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘কাশ্মীর ফাইলস' এর ক্ষেত্রে। এ ছবি নাকি হিন্দুত্ববাদী রসে জারিত, অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’ও কি সেই গোত্রের? তাই কি ভারত সরকার ছবির সঙ্গে যুক্ত? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, এই ছবিতে যুক্ত ব্রিটিশ সরকারও। সদ্য ওয়েভ সম্মেলনে মুক্তি পেয়েছে ছবির টিজ়ার। উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত, সৌম্যজিৎ মজুমদার এবং ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে মনসুর আলি।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমের কাছে শুভ্রজিতের দাবি, “কোনও ভাবেই এই ছবির গায়ে হিন্দুত্ববাদীর তকমা এঁটে দেওয়া যাবে না। ছবিটি ভারতীয় ভাবাবেগ, জাতীয়তাবাদ এবং স্বাধীনতার উন্মাদনায় ভরপুর। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে এত আগ্রহী।” শুভ্রজিত গর্বিত, তিনি টলিউডকে, গোটা দেশকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারছেন। তাঁর কথায়, “যে হেতু ছবিটি বাংলা ভাষায় তৈরি এবং আমি বাঙালি— তাই আমি ভীষণ খুশি। বাঙালি কাঁকড়ার জাত। তাই টলিউড শুধুই ছবি নিয়ে নানা গুজব ছড়াতে ব্যস্ত। কেউ প্রশংসা করতে পারছেন না।” পরিচালকের দাবি, তাঁর ছবিটি পুরো দেশের একটি বিশেষ অনুভূতিকে তুলে ধরবে। পরাধীন ভারতের সন্ন্যাসী বিদ্রোহ তাঁর ছবির বিষয়। সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্রিটিশ আমলে দু’মলাটে বন্দি করেছিলেন জাতীয় আবেগকে। তাই নিষিদ্ধ হয়েছিল উপন্যাসটি। এই কারণে তাঁর ছবি গোটা দেশেরও।
শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’র পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
গুঞ্জন, যে হেতু দেশের স্বাধীনতা ছবির পটভূমিকায় তাই নাকি ‘দেবী চৌধুরাণী’ অগস্টে? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল পরিচালকের কাছে। শুভ্রজিতের মতে, তাঁর ছবিমুক্তির ক্ষেত্রে যে হেতু ভারত সরকার গুরু দায়িত্ব পালন করছে তাই পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই যৌথ প্রযোজক এবং পরিবেশকদের সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছেন ছবির দুই মুখ্য অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং পরিচালক। শীঘ্রই হয়তো ছবিমুক্তির তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হবে।