সুজয় ঘোয।
৪৮তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ভারতীয় বিভাগের প্রধান বিচারকের পদ থেকে সরে গেলেন পরিচালক সুজয় ঘোষ। বিচারকদের মনোনীত দু’টি ছবি চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বাদ দেওয়ার জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
মালয়লম ‘এস দুর্গা’ এবং মরাঠি ‘ন্যুড’, এই ছবি দু’টি ভারতীয় সিনেমা বিভাগে দেখানোর জন্য মনোনীত করেছিলেন বিচারকেরা। ১৩ অক্টোবর তাঁরা মনোনীত ছবির তালিকা জমা দিয়ে দেন। কিন্তু ৯ নভেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ছবির যে তালিকা প্রকাশ করে, তাতে এই ছবি দু’টি ছিল না। সাধারণত, ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গ্রাহ্য করা হয়। কেন মন্ত্রক তা মানছে না, তা জিজ্ঞাসা করেন বিচারকেরা। একাধিক বার জিজ্ঞাসা করেও কোনও উত্তর পাননি তাঁরা। তার পরেই কমিটি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারকমণ্ডলীর প্রধান সুজয়।
যে দু’টি ছবি বাদ গিয়েছে, তার মধ্যে সনল কুমার শশীধরনের ‘এস দুর্গা’ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। নানা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছে ছবিটি। কিন্তু মুম্বই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমে ছবিটি দেখানোর অনুমতি দেয়নি সেন্সর বোর্ড। পরে বোর্ডের সুপারিশ মেনে ছবিটির নাম ‘সেক্সি দুর্গা’ থেকে পাল্টে ‘এস দুর্গা’ করা হয়, বাদ দেওয়া হয় বেশ কিছু সংলাপও। কাটছাঁট করা সেই ছবিটিই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর কথা ছিল। আজ পরিচালক শশীধরন জানিয়েছেন, মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেরালা হাইকোর্টে যাবেন তিনি।
গত বছর সেন্সর বোর্ডের কাঁচির কোপে পড়ে ৯৪টি ‘কাট’ করতে হয়েছিল অভিষেক চৌবের ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবিটিতেও। হালে সঞ্জয় লীলা ভংশালীর ‘পদ্মাবতী’ নিয়েও প্রচুর বিতর্ক চলছে। আলাউদ্দিন খিলজি ও রানী পদ্মিনীর গল্প অবলম্বনে তৈরি ছবিটি নিয়ে যারা আপত্তি তুলছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। অবশ্যই সেন্সর বোর্ডে পাশ হওয়ার পরে। কিন্তু তাতেও দমছে না বিক্ষোভকারীরা। আজ কোটার এক সিনেমা হলে পদ্মাবতীর ট্রেলার দেখানো হচ্ছিল। সেখানে তাণ্ডব চালায় রাজপুত কর্ণী সেনারা। ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন অবশ্য আশাবাদী, বিতর্ক ছাপিয়ে ছবিটি কথা মতো ১ ডিসেম্বরেই মুক্তি পাবে।