হেলায় হারেনি থর

বছর চারেকের বিরতির পর থরকে একা ময়দানে নামিয়ে মার্ভেল স্টুডিয়ো বোধহয় বাজার বুঝে নিতে চাইছিল। পরীক্ষায় তারা অবশ্য সসম্মান উত্তীর্ণ।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:১০
Share:

থর: র‌্যাগনোরক

Advertisement

পরিচালনা: তাইকা ওয়াইতিতি

অভিনয়: ক্রিস হেমসওয়র্থ, টম হিডেলস্টোন, কেট ব্ল্যাঞ্চেট, ইদ্রিস এলবা, মার্ক রাফালো

Advertisement

৭/১০

একা সুপারহিরো দিয়ে আর জমছে না। তাই একের সঙ্গে অনেক। এই করেই অ্যাভেঞ্জার্সের রমরমা। এ ভাবেই আসছে জাস্টিস লিগও। বছর চারেকের বিরতির পর থরকে একা ময়দানে নামিয়ে মার্ভেল স্টুডিয়ো বোধহয় বাজার বুঝে নিতে চাইছিল। পরীক্ষায় তারা অবশ্য সসম্মান উত্তীর্ণ।

তবে একটা ‘কিন্তু’ আছে। এখানে থর একা নয়। লোকি নাহয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সব ছবিতেই উপস্থিত থাকে— হাল্ক, ভ্যালকিরিও এ বার থরের দোসর। আর ঠিক এই কারণেই লোগান এগিয়ে। একার কৃতিত্ব আর ইমোশনাল কোশেন্ট এই দুটো জায়গায় উলভারিন টেক্কা দিয়ে গেল। যে কারণে ‘থর: র‌্যাগনোরক’-এর বছরের সেরা সিঙ্গল সুপারহিরো ফ্লিক হওয়া হল না।

ছবির বিনোদনের মাত্রা কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে কোনও কথা হবে না। কমিক টাইমিংও দারুণ। হাল্ক আর থরের মোলাকাতের সময়টাও বেশ মজাদার। থরের বাকি ছবির থেকে এই তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি বেশ কয়েক জায়গায় আলাদা। ক্রিস হেমসওয়র্থ পরদায় আসা মানেই লম্বা চুল, কেপ আর সঙ্গে হাতুড়ি। এখানে চুলে পড়ল কাঁচি আর হাতুড়ি গেল ভেঙে! প্রায় গোটা ছবিতেই থরকে হাতুড়িহীন অবস্থায় দেখা গেলেও থান্ডার বোল্টের কেরামতি তাতে আটকায়নি।

আর তাকে এই অবস্থায় নিয়ে গিয়ে যে ফেলেছে, তার কথা তো বলতেই হবে। ছবির ভিলেন হেলা। যে প্রায় হেলায় হারাতে পারে সকলকে। অ্যাভেঞ্জার্সদের কেউ যেখানে থরের হাতুড়ি তুলতে পর্যন্ত পারে না, সেখানে হেলার হাতের টোকায় তা চুরমার হয়ে যায়! হেলা আসলে থর আর লোকির বোন। ওডেনের প্রথম সন্তান আর মৃত্যুর দেবতা। যে নিজেকে আসগার্ডের যোগ্য উত্তরসূরি দাবি করে সবটা দখল করে বসে। অগত্যা শুরু হয় হেলা বনাম থর। হেলার চরিত্রে কেট ব্ল্যাঞ্চেট স্রেফ চোখ দিয়েই অভিনয়টা করে দিতে পারেন। তবে তাঁর বয়স যে বাড়ছে, সেটাই আক্ষেপের!

‘…..র‌্যাগনোরক’-এ আমদানি করা হয়েছে গ্র্যান্ডমাস্টার নামক এক মজার চরিত্র। যে অন্য গ্রহে কলোসিয়াম ধাঁচের ব্যাপারস্যাপার চালায়। সেখানেই হাল্ক আর থরকে মুখোমুখি লড়াইয়ে পড়তে হয়। ভ্যালকিরির চরিত্র যে পরবর্তী থর বা অ্যাভেঞ্জার্সে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, তা এই ছবি থেকেই বোঝা যায়। তবে ডক্টর স্ট্রেঞ্জকে আর একটু পাওয়া গেলে মন্দ হতো না। লোকি স্বমহিমায়। থেকে থেকে থরের পিছনে কাঠি করলেও ক্ল্যাইম্যাক্সে ভাইয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে বোনকে হারায়। মার্ভেল মানেই এন্ড ক্রেডিটের পর একটা চমক। যা পরবর্তী অধ্যায়ে গ্র্যান্ডমাস্টারের উপস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এগুলো মার্ভেলের ফিকির। অন্য ছবিতে নিয়ে আসার আগে কার কত দম, সেটা যাচাই করে নেওয়া আর কী!

আর এন্ড ক্রেডিটের আগের পর্ব মানে ক্ল্যাইম্যাক্স কিন্তু এই ছবির আসল ইউএসপি। যুদ্ধ কাকে বলে সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন প্রথম বার মার্ভেল হিরো পরিচালনা করতে আসা তাইকা ওয়াইতিতি। শুধু সিঙ্গল হিরো হিসেবে লোগানের সঙ্গে তুলনার কারণেই থরের নম্বরে খানিক ঢেরা পড়ছে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement