Entertainment News

‘আমি সিঙ্গল, বয়ফ্রেন্ড থাকলে অনেক ঝামেলা’

পরিচালক অরিন্দম শীলের সঙ্গে এটা তাঁর প্রথম কাজ। আগামিকাল মুক্তি পাচ্ছে অভিষেক ঘোষ এবং মনীষা প্রযোজিত ‘দুর্গা সহায়’। সেখানে অন্যতম প্রধান চরিত্রে রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। ছবি মুক্তির আগে আড্ডা। কিন্তু যে প্রশ্নই আসুক, সামলালেন খুব ভেবেচিন্তে। প্রশ্ন সাজিয়ে রেকর্ডার অন করলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।পরিচালক অরিন্দম শীলের সঙ্গে এটা তাঁর প্রথম কাজ। আগামিকাল মুক্তি পাচ্ছে অভিষেক ঘোষ এবং মনীষা প্রযোজিত ‘দুর্গা সহায়’। সেখানে অন্যতম প্রধান চরিত্রে রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। ছবি মুক্তির আগে আড্ডা। কিন্তু যে প্রশ্নই আসুক, সামলালেন খুব ভেবেচিন্তে। প্রশ্ন সাজিয়ে রেকর্ডার অন করলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৩৮
Share:

‘দুর্গা সহায়’ নাকি অরিন্দম শীল সহায়?
প্রথমে ‘দুর্গা সহায়’। কারণ ছবিটা সবার থেকে বড়।

Advertisement

আর অরিন্দম শীল?
অবশ্যই তিনিও সহায়। অরিন্দম শীল সহায় না হলে তো ‘দুর্গা সহায়’ হত না।

কিন্তু আপনি তো লিড রোলে নেই।
অফকোর্স আছি। আমার আর সোহিনীর লিড। কিন্তু এখানে কেউ একা নন। পারিবারিক ছবি। সবাই মিলে ছবিটা করেছি। ছবিটার জন্যই আমরা সকলে রয়েছি। এটা অরিন্দমদাই শিখিয়েছেন।

Advertisement

বলতে চাইছি, আপনি একা লিডে নেই।
দেখুন, আমি ব্যাপারটা ওভাবে দেখি না। আর আমি কেন বড় হব? কেন আমার ছবিটা বড় হবে না? ছবিটা যখন বড় হবে, তখনই তো আমার বড় হওয়ার একটা মানে থাকবে।

আরও পড়ুন, ‘ঋদ্ধিকে আমি হিংসে করি’

কিন্তু দর্শক তো তাই বলছেন।
যার যা ইচ্ছে বলুক। আসলে অরিন্দমদা বুঝতে পারেন কোথায় কাকে মানাবে। আবার রিস্কও নেন। এটা বোধহয় অন্য কোনও পরিচালক করেন না। অভিনেতাদের ওপর দারুণ কনফিডেন্স ওঁর। সেটার জন্য কাজেও কোথাও খুব সুবিধে হয়।

অন্য পরিচালকরা এটা করেন না?
আসলে প্রত্যেক পরিচালকের কাজের ধরন আলাদা। বাংলায় আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাঁরা নিজেদের জায়গায় সেরা। যেমন বিরসা দাশগুপ্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। অরিন্দমদাও অসম্ভব পারফেকশনিস্ট।

‘দুর্গা সহায়’-এর একটি দৃশ্যে তনুশ্রী।

আপনার চরিত্রটা কেমন?
আমি ‘দুর্গা সহায়’-এর মানসী। বাড়ির ছোট বউ। যে ভালবাসা দিয়ে মানুষকে চেঞ্জ করতে পারে। ওর রূপটা দুর্গার অন্নপূর্ণা রূপ।

ট্রেলারে তো আপনার খুব প্রশংসা হয়েছে। কেমন লাগছে?
টেনশন হচ্ছে। প্রশংসা পেলে মনে হয় দায়িত্ব বেড়ে গেল।

আপনার কি মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রি আরও বেশি ইউজ করতে পারত আপনাকে?
সময় তো ফুরিয়ে যায়নি। আমি হোপফুল যে, ২০১৭ আমার জন্য অন্য রকম হবে। বিভিন্ন চরিত্রের জন্য আমার কথা ভাববেন পরিচালকরা। ‘দুর্গা সহায়’ দেখার পর তো আরও ভাববেন সকলে। আমার অনেক বেশি দেওয়ার আছে। আবার অনেক বড় ছবি ফেরাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন, ‘বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ডাকলেও যে লেজ উঠিয়ে যেতে হবে, তার কোনও মানে নেই’

তাই, যেমন?
সৃজিতের ‘রাজকাহিনী’ করা হয়নি। শিবপ্রসাদ ‘বেলাশেষে’তে অফার করেছিলেন। সেটাও করা হয়নি।

কেন?
যে চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছিল সেটা সেই সময় আমার প্রপার মনে হয়নি। আমার বিশ্বাস আরও বেটার চরিত্রে আমাকে ওঁরা কাস্ট করবেন।

পরিচালকের সঙ্গে।

এতে সৃজিত বা শিবপ্রসাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়নি?
একেবারেই না। আমি সেটা বুঝিয়ে বলেছিলাম। বুঝতেও পেরেছিলেন ওঁরা।

যে ছবিগুলোর নাম বললেন, রিলিজ করার পরে আক্ষেপ হয়নি?
না! আমার চরিত্রটা ‘বেলাশেষে’তে ঋতুদি করেছিল। শি ডিড হার বেস্ট। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল ওই সময়টায় শিবুদার সঙ্গে আমি আরও বেটার রোলে কাজ করতে পারি। নিশ্চয়ই সে সুযোগ আসবে। আমি তো আশাবাদী।

আরও পড়ুন, ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা সবাই একে অন্যের পিঠ চুলকোচ্ছি

আপনাদের ‘গার্লস গ্যাং’-এর কথা তো টলিউডে সকলেই প্রায় জানেন। সেখানে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিমি, নুসরত, শ্রাবন্তী কি আপনার থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বেশি এক্সপোজার পান?
(সামান্য পজ) এক একটা সময় আসে। সকলেরই আসে। বেটার এক্সপোজারের সময়। সেটা তো সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে যায় না। আমি বলব সময়টা চেঞ্জ হতে থাকে।

যদি একটি বুঝিয়ে বলেন প্লিজ…
এক একটা সময় আসে, যখন ধরুন এক সঙ্গে চারটে ছবি রিলিজ করছে। প্রচুর ছবি বেরোচ্ছে মিডিয়ায়। কিন্তু আসল কাজটা হল ফ্লোরে গিয়ে অভিনয়। সেটা ঠিক করে করতে পারাটাই আসল কথা। ওটাই আমার করার জায়গা।

হঠাত্ খুব রেগে গেলে এই বন্ধুদের মধ্যে কাকে ফোন করবেন?
নুসরতের ওপর রাগ হলে মিমিকে ফোন করব। মিমির ওপর রাগ হলে নুসরতকে ফোন করব। (তুমুল হাসি)

আর একেবারে অন্য কারণে রাগ হলে কার সঙ্গে শেয়ার করবেন?
যার নম্বরটা মোবাইল স্ক্রলে আগে আসবে তাকে ফোন করে শেয়ার করব।

আরও পড়ুন, ‘দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী মেগার স্টোরি লাইন পাল্টে দেওয়া হয়’

এই শেয়ারিংয়ের লিস্টে বয়ফ্রেন্ড নেই?
না! আমার কোনও বয়ফ্রেন্ডই নেই এই মুহূর্তে।

এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
সত্যি। আমি এখন সিঙ্গল। বয়ফ্রেন্ড থাকলে অনেক ঝামেলা (মুচকি হাসি)।

ছবি: অনির্বাণ সাহা।

লোকেশন সৌজন্য: হোটেল অরিয়ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন