নবদম্পতি রূপা-দেবাঙ্ক ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। ছবি, খেলাধুলো, অভিনয়, রোজের আড্ডা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ারের নেশা অভিনয়। মঞ্চে সুযোগ পেলেই অভিনয় করেন। বিনোদন দুনিয়াই মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল দেবাঙ্ক ভট্টাচার্য এবং ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্যকে। টেলিপাড়া জানে, এক মাস আগে অভিনেত্রীর যখন অস্ত্রোপচার হয় তখন হাসপাতালের কাগজপত্রে সই করেছিলেন দেবাঙ্ক। তাঁকেই জীবনসঙ্গী করে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী। শনিবার ছোটপর্দার বন্ধুদের নিয়ে চার হাত এক হল।
রূপা-দেবাঙ্ক ভট্টাচার্যের বিয়েতে কাঞ্চনা মৈত্র। ছবি: ফেসবুক।
পরনে গাঢ় গোলাপি বেনারসি। গা ভরা সোনার গয়না। কপালে চন্দনের কারুকাজ। সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছে সিঁদুর। শনিবার মধ্যরাতে সমাজমাধ্যমে রূপার এই সাজ দেখে বিস্মিত টেলিপাড়া। আনন্দবাজার ডট কমকে রূপা বললেন, “আমাদের তুই-তোকারি সম্পর্ক। অনেক বছর ধরে পরস্পরকে চিনি। গত মাসে আমার খারাপ সময়ে দেবাঙ্কর আন্তরিকতা দেখে মনে হল, ওর সঙ্গে বাকি জীবন কাটানো যায়। তাই এই সিদ্ধান্ত।” এ দিন তাঁরা আইনি বিয়ে সেরে শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সিঁদুরদান, অতিথি আপ্যায়ন সারেন দুই পরিবারের উপস্থিতিতে। কাঞ্চনা মৈত্র, সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্র, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত-সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন বিবাহ বাসরে।
রূপার বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি। ছবি: ফেসবুক।
বিয়ে মিটতেই কাজ নিয়ে ফের ব্যস্ত রূপা। সবে ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছেন। পরের কাজের জন্য মুখিয়ে। তাঁর কথায়, “বিয়ে করেছি বলে কেউ ভাববেন না, আমি অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছি। গুছিয়ে সংসার করব। আমার কাছে কাজ আগে।” শুটিং সেরে কাঞ্চনা গিয়েছিলেন বন্ধুর বিয়েতে। তাঁর কথায়, “রূপাকে বধূসাজে সুন্দর মানিয়েছে। দেবাঙ্ক ভীষণই আন্তরিক, বন্ধুবৎসল। আশা, ওরা ভাল থাকবে।”
অতিথি আপ্যায়নে ছিল রকমারি বাঙালি খানা। রাধাবল্লভি, ছোলার ডাল, ফিশ ফ্রাই, পোলাও, মাটন, চিকেন, মিষ্টি— কিচ্ছু বাদ ছিল না মেনুতে।