The Kerala Story

‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর থেকে উঠল নিষেধাজ্ঞা, রাজ্যে ছবিটি কবে থেকে দেখা যাবে?

৫ মে মুক্তি পায় সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবিটির প্রদর্শন পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে শুরু হয় বিতর্ক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১৬:৩৭
Share:

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি আবার কবে থেকে রাজ্যে দেখা যাবে? ছবি: সংগৃহীত।

৮ মে রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়। সমাধানসূত্র পেতে ছবির নির্মাতারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে এল সেই রায়। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি প্রদর্শনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। ফলে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে ফের ছবিটি দেখার উৎসাহ চোখে পড়েছে।

Advertisement

ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত পশ্চিমবঙ্গে এই ছবির পরিবেশক শতদীপ সাহা। তিনি বললেন, ‘‘খুবই ভাল লাগছে। এটা সিনেমা ব্যবসার জন্য খুবই ভাল সিদ্ধান্ত।’’ এর আগে শতদীপ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন যে, ছবিটি রাজ্যে ৯২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম ৩ দিনে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দাঁড়িয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ আসার পর নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্যের হল মালিকরা। শতদীপ বললেন, ‘‘খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। পর পর হল মালিকদের ফোন আসছে। অনেকেই আবার ছবিটা দেখাতে চাইছেন। কিন্তু শুক্রবার থেকে ছবির তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হবে। তাই শেষ পর্যন্ত কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে দেখা যাক।’’

তা হলে আবার কবে থেকে দেখা যাবে এই ছবি? শতদীপ বললেন, ‘‘সবে রায় এসেছে। পরিকল্পনামাফিক এগোতে হবে। তাই ঠিক কবে থেকে দর্শক আবার ছবিটা দেখতে পাবেন, সেটা এখনই বলতে পারছি না।’’ এর আগে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর রাজ্য সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ছবির পরিবেশক হিসাবে তাঁর ক্ষতিপূরণের বিষয়টা উল্লেখ করেছিলেন শতদীপ। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও আমি লোকসান মেটাতে পারব না। কারণ মাঝে অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। ছবিটা যে আবার দেখানো হবে, আমি তাতেই খুশি।’’

Advertisement

শতদীপ অবশ্য তাঁর নিজের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে অবিলম্বে ছবিটি প্রদর্শনের দ্রুত ব্যবস্থা করছেন। আদালতের স্থগিতাদেশ কি প্রমাণ করে দিল সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না? পরিবেশক বললেন, ‘‘অবশ্যই। সিনেমা হল বাঁচানোর জন্য তো কেউ লড়াই করে না! কারণ এমনিতেই রাজ্যের সিনেমা হলগুলো মরে গিয়েছে। সেখানে দু’-চার জন মানুষ হলে ঢুকলে কিছুটা হলেও তো আমাদের উপকার হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন