বলি তারকাদের ‘পারফেক্ট’ ফিগারের কারিগর এঁরাই। ট্রেন্ডি ফ্ল্যাট অ্যাবস হোক বা পেশীবহুল সিক্স প্যাক অ্যাবস—এই ট্রেনারদের জাদু কাঠির ছোঁয়ায় তারকারা হয়ে ওঠেন ‘হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং’। তবে ট্রেনারদের বেতনও কিছু মন্দ দেন না বলি সেলেবরা। গ্যালারির পাতায় দেখে নিন ফিটনেস ট্রেনারদের পিছনে কত খরচ করেন এই তারকারা।
করিনা কপূর: বরাবরই ফিটনেস সচেতন নায়িকা। প্রেগন্যান্সির পর বড় পর্দায় কামব্যাকের আগে করিনার ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তাঁর ট্রেনার নম্রতা পুরোহিত। নায়িকার অধ্যবসায় এবং নম্রতার দক্ষতা দেখে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন অনুরাগীরা। নম্রতাকে প্রতি মাসে ৬৫ হাজার টাকা বেতন দেন করিনা।
ক্যাটরিনা কইফ: প্রায় এক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করছেন ক্যাটরিনা ও তাঁর ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। ক্যাটরিনার ‘চিকনি চামেলি’, ‘শিলা কি জওয়ানি’ কিংবা ‘কমলি’ গানের ফিগার ইয়াসমিনের নির্দেশেই তৈরি। ক্যাটরিনার আগে দীপিকা, আলিয়া-সহ একাধিক সেলেবদের ট্রেনার হিসেবে কাজ করেছেন ইয়াসমিন। তাঁর বেতন মাসে ৪৫ হাজার টাকা।
সোনম কপূর: বলিউডের ‘ফ্যাশনিস্তা’ সোনম কপূর ফিটনেস নিয়ে বরাবরই খুঁতখুঁতে। তাঁর স্টানিং ফিগারের চাবিকাঠি রয়েছে একজনেরই হাতে। রাধিকা কারলে। সোনমের ওয়ার্কআউট রুটিন থেকে ডায়েট চার্ট সবকিছুই নিপুণ হাতে সামলান রাধিকা। তাঁর বেতনও বেশ ভাল। মাসে রাধিকাকে ৫৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেন সোনম।
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ: দেশের টপ মডেলদের মধ্যে নাম নেওয়া হয় জ্যাকলিনের। নিজের ‘কার্ভি বডি’ ধরে রাখতে নিয়মিত ওয়েট ট্রেনিং করেন জ্যাকলিন। ফিটনেস নিয়ে বরাবরই সিন্ডি জর্ডনের উপরেই ভরসা রেখেছেন তিনি। এই কাজের জন্য সিন্ডিকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেন জ্যাকলিন।
আমির খান: ‘গজনি’ ছবিতে আমিরের ‘এইট প্যাক অ্যাবস’ তাক লাগিয়ে দিয়েছিল গোটা বি-টাউনকে। চরিত্রের প্রয়োজনে প্রায়ই নিজের চেহারায় বদল আনেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। আর এই কাজে তাঁর একমাত্র ভরসা ফিটনেস ট্রেনার সত্যজিৎ চৌরাসিয়া। প্রতিটা ফিটনেস সেশনের জন্য ১০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন সত্যজিৎ।
কঙ্গনা রানাউত: পার্সোনাল ট্রেনার হিসেবে অনুষ্কা পুরোহিতকেই বেছে নিয়েছেন কঙ্গনা। নিয়মিত ওয়ার্কআউট এবং কার্ডিও ট্রেনিং করেন কঙ্গনা। তাঁর পারফ্যাক্ট অ্যাবস এবং টোনড বডির কারিগর অনুষ্কাই। এই কাজের জন্য ফিটনেস ট্রেনার অনুষ্কাকে মাসে ৬৫ হাজার টাকা বেতন দেন কঙ্গনা।
হৃতিক রোশন: বলিউড ‘গ্রিক গড’-এর পেশীবহুল চেহারার অন্যতম কারিগর জনপ্রিয় ফিটনেস ট্রেনার ক্রিস গেথিন। ‘ক্রিস ৩’ ছবির আগে হৃতিকের চেহারায় ভোলবদল আনেন তিনিই। অভিনেতা জানিয়েছেন, ছবির সাফল্যের পর ক্রিসকে তিনি ২০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন।
ফারহান আখতার: ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবিতে ফারহান আখতারের চেহারার বদল জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শমহলে। ফারহান জানিয়েছিলেন মিলখার মতো চেহারা বানাতে দিনে ছ’বার ওয়ার্কআউট করতেন তিনি। অভিনেতার ফিটনেস ট্রেনিং থেকে ডায়েট চার্ট, পুরো দায়িত্বই সামলেছিলেন সমীর জৌরা। ফিটনেস এক্সপার্ট সমীরের পারিশ্রমিক মাসে ৩-৪ লক্ষ টাকা।