‘বয়স কেবল সংখ্যামাত্র’! এ কথা তাঁদেরই বলা মানায়, যাঁরা বয়সকে তুড়ি মেরে ঘটিয়ে চলেছেন নানা কাণ্ডকারখানা। কিন্তু যাঁরা বয়সের সঙ্গেই বুড়িয়ে গিয়েছেন বা চেহারায় পড়েছে বয়সের ছাপ তাঁদের বেলা? শুধু আমাদের চার পাশেই নয়, বলিউডের এমন বৈপরীত্য আকছার চোখে পড়ে। একই বয়সী অথচ চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই। জানেন তাঁরা কারা?
এই যেমন ধরুন স্মৃতি ইরানি ও শিল্পা শেট্টি। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে স্মৃতি রীতিমতো পরিচিত মুখ ছিলেন বলিউডের। শিল্পা ও স্মৃতি দু’জনেই প্রায় সমবয়সী। ১৯৭৫-এ জন্ম শিল্পার, ’৭৬-এ স্মৃতি। দেখতে গেলে, শিল্পা প্রায় এক বছরের বড়। তবু দু’জনের চেহারাছাপ দেখলে তা বোঝার সাধ্যি কী!
সানি দেওল আর অলোক নাথ। দু’জনেরই জন্ম ১৯৬২ সালে। বয়স ৬২। কিন্তু সানি দেওল ও অলেক নাথকে দেখলে বোঝা সম্ভব, এঁরা সমবয়সী!
বলি অভিনেতা রাম কপূর ও মিলখা, থুড়ি, ফারহান আখতার সমবয়সী! কিন্তু ফিটনেস বলুন বা চেহারা সবেতেই রাম কপূরের থেকে অনেক এগিয়ে বছর পঁয়তাল্লিশের ফারহান।
প্রায় ৬৮ বছর বয়সেও যে ভাবে মাঝে মাঝেই নিজের ছবির স্টান্ট একাই করে ফেলেন রজনীকান্ত, তা দেখলে অবাক হতে হয় বইকি! দক্ষিণ ভারতীয় এই অভিনেতার ভক্তও রেকর্ড সংখ্যক। সেই তুলনায় মিঠুন চক্রবর্তীকে আর সে ভাবে পাওয়া যায় না। শারীরিক দিক থেকেও ফিটনেসে অনেকটা এগিয়ে প্রায় তাঁরই সমবয়সী রজনীকান্ত।
হৃতিক রোশনের সমবয়সী আর এক বলি অভিনেতা অমিত ভাট। ভাবা যায়! চেহারা, ফিটনেস, লুকস সবেতেই অমিত ভাটের চেয়ে অনেক কমবয়সী দেখায় হৃতিককে। দু’জনেরই জন্ম ১৯৭৪-এ!
এমনি এমনি কি তাঁকে ‘ড্রিমগার্ল’ বলা হয়! হেমা মালিনির কথা বলছি। ১৯৪৮-এর অক্টোবরে জন্ম হেমার। ১৯৪৯-এর মার্চে জন্ম নেন আর এক অভিনেত্রী ফরিদা জালাল। কিন্তু এই দুই অভিনেত্রীকে দেখে বোঝার জো নেই, যে এঁরা প্রায় সমবয়সী!
তরুণ বয়স থেকে এই ৬১-তে পৌঁছেও অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার কাজেও মন দিয়েছেন অনিল কপূর। অথচ তাঁর চেয়ে মাত্র কয়েক মাসের বড় সতীশ কৌশিকের সঙ্গে না মেলে তচাঁর চেহারায়, না ফিটনেসে!