Kate Winslet

মানবিক কেট, লাইফ সাপোর্টে থাকা কিশোরীকে বাঁচাতে লাখ লাখ টাকা সাহায্য টাইটানিকের রোজ়ের

ফ্রেয়া। বছর বারোর কিশোরী। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে ছোট্ট মেয়েটির প্রাণটুকু বেঁচে রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১১:০৩
Share:

কিশোরীর জীবন বাঁচাতে ‘রোজ়ের’ সাহায্য। ফাইল চিত্র।

সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত এক কিশোরীর খবর পেয়েছিলেন সংবাদমাধ্যম থেকে। ব্যস ওইটুকুই। তার পর আর স্থির থাকতে পারেননি। কিশোরীকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত কেট উইনস্লেট ওরফে রোজ়।

Advertisement

ফ্রেয়া। বছর বারোর কিশোরী। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে ছোট্ট মেয়েটির প্রাণটুকু বেঁচে রয়েছে। কিন্তু সেই লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের কারণে আসা বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিশাল সমস্যায় পড়েন ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিন হান্টার। বিদ্যুৎ সংস্থা থেকে বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

কেট উইনস্লেট। (বাঁ দিকে) ফ্রেয়া। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। ছবি: সংগৃহীত।

বিবিসি স্কটল্যান্ড-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই লাইফ সাপোর্ট চালাতে হান্টার পরিবারের বছরে খরচ হয় ৬,৫০০ পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় ৬ লক্ষ টাকার বেশি। কিন্তু এই পরিমাণ বিদ্যুতের খরচ টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হান্টার পরিবারকে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নজর কেড়েছিল কেটের। একটি অসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় তিনি যোগাযোগ করেন হান্টার পরিবারের সঙ্গে। শুধু যোগাযোগ করাই নয়, ফ্রেয়াকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১৭ হাজার পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা সহযোগিতা করেছেন।

Advertisement

‘টাইটানিক’ খ্যাত নায়িকার এই মানবিক রূপে মুগ্ধ ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিন বলেন, “একটা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলাম। একটা সময় মনে হয়েছিল সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যখন অর্থসাহায্যের খবর পেলাম, কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন