Saheb Chatterjee

আদরের বোনকে হারালেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা

কলকাতায় ছিলেন না সাহেব চট্টোপাধ্যায়। শহরে ফিরতেই দুঃসংবাদ। ছুটলেন হাসপাতালে। শেষরক্ষা হল না। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৫৭
Share:

সাহেব চট্টপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পোস্ট সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত তাঁর বোন। রক্ত দরকার। এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই রক্ত দেওয়ার জন্য। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার রাত ১টার সময় মৃত্যু হয় তাঁর বোনের। কয়েক দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন সাহেব। কলকাতা ফিরে বিমানবন্দর থেকে সোজা ছোটেন হাসপাতালে। সেখানেই ছিলেন বোন। রক্ত জোগাড় করার চেষ্টা করছিলেন। মাত্র দু’দিনেই এই অবস্থা। সাহেবের মাসির মেয়ে, মানুষ হয়েছেন তাঁদের বাড়িতেই। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারানোর জন্য সাহেবের মায়ের কাছেই থাকতেন তিনি। কিন্তু আচমকা যে এমনটা ঘটে যাবে, বুঝতে পারেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনকে সাহেব বললেন, “আমি বুঝতেই পারলাম না কী ঘটে গেল। দু’দিনের মধ্যে সব শেষ। আমার মাসির মেয়ে আর আমি একসঙ্গে বড় হয়েছি। ওর একটা দু’মাসের মেয়ে আছে। মেয়েকে দেখানোর জন্যই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিল। মাকে দেখাতে নিয়ে এসেছিল। তার পর হঠাৎই ডেঙ্গি ধরা পড়ে। মাত্র ৪০ বছর বয়স ছিল। দু’দিনে মাল্টিঅরগ্যান ফেল করে গেল। কিছু বুঝতেই পারলাম না। এখন বাড়ি ফিরেছি। মাকে জানানোর জন্য।” অভিনেতার কণ্ঠ শুনে বোঝা যাচ্ছিল তিনি ঠিক কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে রক্ত দরকার, পোস্ট করতে না করতেই প্রচুর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন, অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে নিজের পোস্টেই মন্তব্যবাক্সে সাহেব লেখেন, “সবাইকে ধন্যবাদ এগিয়ে আসার জন্য। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি বুধবার ভোরে আমার বোনকে আমরা হারিয়েছি।” আপাতত তাঁর দু’মাসের ভাগ্নিকে রাখা হয়েছে সাহেবের বন্ধুর স্ত্রীর কাছে। অভিনেতার ভগ্নিপতি নয়ডায় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মরত। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন সাহেব।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন