রণবীরের সঙ্গে অভিনয় করে জীবন বদলে যায় তৃপ্তির। ছবি: সংগৃহীত।
রণবীর কপূরের সঙ্গে শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করে আলোড়ন তুলেছিলেন তৃপ্তি ডিমরী। তবে কটাক্ষও কম সইতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু অভিনেত্রী মনে করেন, রণবীরের সঙ্গে ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে অভিনয় করেই জীবন রাতারাতি বদলে গিয়েছিল তাঁর।
‘বুলবুল’, ‘লায়লা মজনু’র মতো ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন তৃপ্তি। কিন্তু খ্যাতি আসে ‘অ্যানিম্যাল’-এ অভিনয় করার পরে। এই ছবিটি বক্স অফিসে সফল হলেও, সমালোচিত হয়েছিল। নারীবিদ্বেষী তকমাও পেয়েছিল এই ছবি। একটি দৃশ্যে রণবীর তাঁর জুতো চাটতে বলেছিলেন তৃপ্তিকে। সেই দৃশ্য নিয়েও হইহই পড়ে গিয়েছিল।
তৃপ্তির দাবি, ‘অ্যানিম্যাল’-এ অভিনয় করার পরেই দর্শক তাঁর পুরনো ছবিগুলি দেখা শুরু করেছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, “আমার জীবন একেবারে বদলে গিয়েছিল ‘অ্যানিম্যাল’-এর পরে। এই ছবি আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। ‘লায়লা মজনু’র জন্য যে পরিচিতি পাওয়ার আশা করেছিলাম, তা ‘অ্যানিম্যাল’-এ অভিনয় করে পেয়েছিলাম।”
চরিত্রটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছিল বলে খ্যাতি পাওয়ার আশা করেননি তৃপ্তি। কিন্তু পরিচালক সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গা নাকি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন। পরিচালক নাকি দাবি করেছিলেন, তৃপ্তির জন্য এই ছবি খুবই ভাল ফলাফল নিয়ে আসবে। অভিনেত্রীর কথায়, “সত্যিই উনি ঠিক কথাই বলেছিলেন।”
রণবীরের সঙ্গে শয্যাদৃশ্যে অভিনয় মোটেই সহজ ছিল না। তবে তার চেয়েও কঠিন ছিল নাকি অন্য আর একটি দৃশ্য। সেই দৃশ্যে তিনি নিজের চরিত্রটির আসল পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন রণবীরের সামনে। কিছুতেই সংলাপ মনে রাখতে পারছিলেন না তৃপ্তি। চোখে জলও আসছিল তাঁর। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রণবীর। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে তৃপ্তি জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত কাজের চাপের জন্যই নাকি তিনি সংলাপ মনে রাখতে পারছিলেন না।