রহস্য ও প্রেমের মিশেল

প্রেম আর রহস্য এই ছবির পরতে পরতে। ছবির শুরুতে এক জন (আবীর) গাড়ি করে লাল-সবুজ প্রকৃতির মাঝখান দিয়ে যেতে যেতে কখনও ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে দেখছে নদীর জল, কখনও বা তার চোখ থেমে যাচ্ছে অন্য কিছুতে। তার দৃষ্টি হাতড়াচ্ছে কিছু একটা। ব্যক্তির নাম জানা যাচ্ছে না।

Advertisement

ঊর্মি নাথ

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

প্রেম আর রহস্য এই ছবির পরতে পরতে। ছবির শুরুতে এক জন (আবীর) গাড়ি করে লাল-সবুজ প্রকৃতির মাঝখান দিয়ে যেতে যেতে কখনও ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে দেখছে নদীর জল, কখনও বা তার চোখ থেমে যাচ্ছে অন্য কিছুতে। তার দৃষ্টি হাতড়াচ্ছে কিছু একটা। ব্যক্তির নাম জানা যাচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, সে তার বাবা এস কে মুখার্জিকে খুঁজছে। সাইকেল নিয়ে চষে বেড়াচ্ছে চার দিক। কখনও ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করছে হিন্দিভাষী তিন বুড়োকে, কখনও বা গ্রামের হাটের বইওয়ালাকে। নিরন্তর এই খোঁজার ফাঁকে ফাঁকে জাম্প কাট। রহস্যের পাশে পরিচালক বলছেন একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প। সেই গল্পের নায়ক ঋত্বিক (সৌরভ)। মেধাবী ছাত্র। শুধুমাত্র প্রেমিকা মৌয়ের (অরুণিমা) সঙ্গে এক ক্লাসে পড়বে বলে ইচ্ছে করে পরীক্ষায় ফেল করে সে!

Advertisement

নাম না জানা ব্যক্তি তার বাবাকে খুঁজতে গিয়ে সন্ধান পায় তার প্রাক্তন প্রেমিকা শ্রেয়ার (পাওলি)। শ্রেয়ার মুখেই জানা যায়, ব্যক্তির নাম কৌশিক। ধীরে ধীরে দু’টি গল্পের মধ্যে সূত্র ও রহস্যের মোড়ক খুলতে থাকে। কৌশিক কেন খুঁজছে এস কে মুখার্জিকে? শ্রেয়া-কৌশিকই কি ঋত্বিক আর মৌ? রহস্য উন্মোচন হয়েছে ছবির শেষে।

ঋত্বিক-মৌয়ের গল্পে পর্দায় বইয়ের মতো করে ফুটে ওঠে ‘অধ্যায়’, ‘পৃষ্ঠা’, ‘পর্ব’। গল্প বলার স্টাইলে নতুনত্ব আছে। এক দিকে লাভ স্টোরি, অন্য দিকে থ্রিলার... এই নিয়ে জাগলিংটা ভালই করছিলেন পরিচালক। কিন্তু একেবারে শেষে এসে হালটা ছেড়ে দিলেন কেন? ভালবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রেম-অপ্রেম, হত্যা, অন্ধকার জগৎ... সব মিশিয়ে একটু অন্য ধাঁচের এই গল্পের পরিণতি বড্ড ক্লিশে। নাটুকে। অনেকটা ভাল দার্জিলিং চা খেতে খেতে শেষ চুমুকে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো। চোখে লেগেছে বাংলা বইয়ের লেখকের নাম ইংরেজি হরফে লেখা!

Advertisement

তৃতীয় অধ্যায় পরিচালনা: মনোজ মিশিগান অভিনয়: আবীর, পাওলি, সৌরভ, অরুণিমা ৫.৫/১০

‘তৃতীয় অধ্যায়’-এ অনেক দিন পরে আবীর-পাওলির জুটিকে পর্দায় দেখা গেল। কৌশিকের চরিত্রে আবীর নিজেকে ভেঙেছেন। পাওলি-আবীরের সাবলীল অভিনয় প্রত্যাশিত। তাঁদের পাশাপাশি সৌরভ ও অরুণিমার স্বাভাবিক অভিনয় প্রশংসনীয়। ওরিনের সুরে দু’টি গান ছবির সঙ্গে মানানসই।

সবচেয়ে নজর কেড়েছে ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি। ড্রোন ক্যামেরায় ঝাড়খণ্ডের লাল-সবুজ পটভূমি, একটু ব্যতিক্রমী শট নিয়ে চিন্তাভাবনা সিনেম্যাটোগ্রাফার সুপ্রিয় দত্তের দক্ষতাকে জানান দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন