স্বর্ণকমলের জীবনে ঝড়! ছবি: সংগৃহীত।
১৫ বছরের দাম্পত্য। মাত্র দেড় মাসের আলাপে বিয়ে করেছিলেন। তার পরিণতি যে এমন হবে, তা আশা করেননি অভিনেত্রী স্বর্ণকমল দত্ত। স্বামীর নাম সুদীপ্ত ঘটক। অভিনেত্রীর দাবি, বিয়ের পর থেকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। আর সহ্য করতে না পেরে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন তিনি।
এত বছরের সংসার শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন টিকিয়ে রাখার। স্বর্ণকমল বলেন, “বিয়ের পর থেকে মারধর সহ্য করছি। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক, নোংরা ভাষায় আক্রমণ— এতগুলি বছর ধরে ঝড় বয়ে গিয়েছে।” অভিনেত্রী দাবি করেছেন, গত জানুয়ারি মাসে ফের এক নতুন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁর স্বামী। প্রতিবাদ করায় কিশোরী মেয়ের সামনেই তাঁকে মারধরও করেন। আর তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বর্ণকমল। তাঁর কথায়, “এত বছর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আর নয়, জানুয়ারিতে সব শেষ।”
কন্যাসন্তানের মা স্বর্ণকমল। এখন সে নবম শ্রেণির ছাত্রী। অভিনেত্রী বললেন, “মেয়ে বলেছে, প্রতি দিন এই অশান্তি ভোগ করার থেকে বাবার না থাকাই ভাল। এই মেয়েরই যখন পাঁচ মাস বয়স, তখন আমাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন শাশুড়ি মা। তা-ও আমি মানিয়ে নিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। আমার বাবার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এত কিছুর পর আমি চেষ্টা করেছিলাম যদি সংসার টিকিয়ে রাখা যায়!”
বহু বছর হয়ে গিয়েছে এক ছাদের তলায় থাকলেও স্বামীর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না অভিনেত্রীর। স্বর্ণকমল বলেন, “গত ৬ মাস আমি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। এত অত্যাচারিত হয়েছি, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখন আমার উপর চাপ সৃষ্টি করছেন স্বামী, যাতে আমি বিনা প্রতিবাদে বিবাহবিচ্ছেদ করে দিই। কিন্তু এমন বাজে মানুষকে সহজে ছাড়তে একেবারেই রাজি নই।” অভিনেত্রীর অভিযোগ, তাঁদের কোনও ভাবে আর্থিক সাহায্যও করেননি তাঁর স্বামী। উল্টে সংসার চালাতে হত তাঁর বাবাকেই।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ইতিবাচক ভাবে জীবনে ফিরতে চাইছেন তিনি। নতুন করে শুরু করেছেন অভিনয়। তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে। সেখানেও তিনি এসেছেন এক দ্বিতীয় নারী হিসাবে, নায়িকার ‘সতীন’ সোহিনী। রয়েছে কন্যাসন্তান। কিন্তু সেই নারীও আসলে প্রতারিতই।
স্বর্ণকমল বলেন, “এই পরিস্থিতিতে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় যে আমায় কাজ দিয়েছেন তাতেই কৃতজ্ঞ। মেয়ের পড়াশোনা, সব দায়িত্বই তো আমার কাঁধে। এমন চরিত্র পেয়ে আমি খুবই কৃতজ্ঞ।”