বিবেক
মাত্র পাঁচ বছরের কেরিয়ার। তার মধ্যেই যথেষ্ট পরিচিত বিবেক দহিয়া। হিন্দি ধারাবাহিকে নিয়মিত মুখ, দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠীর সঙ্গে বিয়ে, নতুন ধারাবাহিক ‘কয়ামত কী রাত’-এ অভিনয়... সব মিলিয়ে সময়টা ভালই কাটছে বিবেকের। তবে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নটা যে পূরণ হয়ে যাবে, সেটা ভাবতেও পারেননি। বললেন, ‘‘অভিনেতা হতে চাইলেও আত্মবিশ্বাস ছিল না। ভাবতাম, যদি চাকরি ছেড়ে মুম্বইয়ে অভিনয় করতে যাই এবং কিছু করে না উঠতে পারি, তা হলে আমারই প্রোফাইল খারাপ হবে। বিজ়নেস অ্যানালিস্ট হিসেবে যতটুকু অর্জন করেছি, সেটাও মাঠে মারা যাবে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চলেই এলাম। যাকে বলে ‘লিপ অব ফেথ’। ভাগ্যিস ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম! আর পিছনে ফেরার অবকাশ নেই।’’
বাইরে থেকে এসে অসুবিধে হয়নি কোনও? ‘‘টিভি ইন্ডাস্ট্রি সহনশীল। এখানে ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা হয় না। পারফরম্যান্সই কথা বলে। যদি বহিরাগতদের নিয়ে সমস্যা হতো, তা হলে আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকতাম না,’’ বলছিলেন বিবেক। তবে ফ্যান্টাসি থ্রিলার ‘কয়ামত কী রাত’-এ অভিনয় করাটা খুব একটা সহজ নয় বলেই মনে করেন তিনি। ‘‘আউটডোর শুটিং চাপের। কখনও ধোঁয়া উড়ছে, কখনও ধুলো। কখনও তুমুল বৃষ্টি! এ সব সামলাতে সামলাতে অভিনয়, সংলাপ বলা জরুরি,’’ বললেন অভিনেতা। কাজ করছেন করিশ্মা তন্নার বিপরীতে। বললেন, ‘‘করিশ্মার সঙ্গে আমার অফ স্ক্রিন কেমিস্ট্রি ভাল বলেই হয়তো অন স্ক্রিন আমাদের দু’জনকে ভাল লাগে দেখতে। ওঁর সঙ্গে কাজ করাটাও মজার ব্যাপার।’’
‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতেঁ’র সেটে দিব্যাঙ্কার সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে। বিয়ের দু’বছর পর জীবন কি বদলেছে? ‘‘দায়িত্বশীল হয়েছি। মাল্টিটাস্ক করতে পারি। এখন আর এক জনের কথা ভাবতে হয়। আর প্রায়রিটাইজ় করাটাও শিখতে হয়েছে।’’ সত্যিই। তাই বোধহয় দায়িত্ব মেনে ছুটি নিয়ে বৌয়ের সঙ্গে মলদ্বীপে সেরে এলেন দ্বিতীয় হনিমুন।