ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
একসঙ্গে বড়পর্দায় ফিরছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ১২-১৩ বছর পর তাঁদের একসঙ্গে অনস্ক্রিন দেখবেন দর্শক। এমনটাই দাবি করলেন পরিচালক অনিন্দ্যবিকাশ দত্ত। সৌজন্যে তাঁর আসন্ন ছবি ‘নীলাচলে কিরীটী’।
তবে এই ছবিতে জুটি হিসেবে নয়, দু’টি ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা ও অভিষেককে। অনিন্দ্য বললেন, ‘‘আগের ছবি কালো ভ্রমরে কিরীটীর বিয়ে পর্যন্ত দেখিয়েছিলাম। এ বার সে পুরীতে গিয়েছে হনিমুনে। সেখানে গিয়ে এক পুরনো দাদা কালী সরকারের সঙ্গে দেখা হয়। কালী নিখোঁজ হয়ে যান। তার পরই রহস্যের শুরু। এই কালীর চরিত্রে রয়েছেন অভিষেক। আর এক হোটেল মালিকের চরিত্র করেছেন ঋতুপর্ণা।’’
নীহাররঞ্জন গুপ্ত সৃষ্ট এই গোয়েন্দা কিরীটী রায় অন্য বাঙালি গোয়েন্দাদের মতো নন। ইনি একটু সাহেবি ধাঁচের। নীহাররঞ্জনের বর্ণনা অনুযায়ী কিরীটী রায় প্রায় সাড়ে ছ’ফুট লম্বা, মেদহীন শরীর, গৌরবর্ণের অধিকারী, ব্যাক ব্রাশ করা চুল, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, মাথায় হ্যাট এবং গায়ে ওভারকোট। নীহাররঞ্জন গুপ্ত ইচ্ছে করেই একটু সাহেবি ধাঁচের করে তৈরি করেছিলেন তাঁর বাঙালি গোয়েন্দাকে। আর তাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে আগের বারের মতোই ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে বেছে নিয়েছেন পরিচালক।
আরও পড়ুন, ‘আমাজন’ নিয়ে জেনারেল নলেজ টেস্ট দিলেন দেব, দেখুন রেজাল্ট
নীহাররঞ্জনের ‘বসন্ত রজনী’ গল্পের ওপর তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য। পুরীতে হয়েছে বেশিরভাগ শুটিং। অনিন্দ্যর কথায়, ‘‘পুরীতে অনেক নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করেছি আমরা। যার পুরো কৃতিত্ব চিত্রগ্রাহক হরেন্দ্র সিংয়ের।’’ একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। সব কিছু ঠিক থাকলে ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ১১ জানুয়ারি।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন