গভীর সম্পর্কে জড়াতে চান না, বিয়েতেও আপাতত না!

তাই গভীর সম্পর্কে জড়াতে চান না। বিয়েতেও আপাতত না। সোশ্যাল মিডিয়া নয়, সময়টাই যে গোলমেলে। ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ ছবির প্রচারে আনন্দ প্লাসের দফতরে এসে এমনটাই বললেন অর্জুন কপূর ও শ্রদ্ধা কপূরট্রেলার বেরোনোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এর ট্রোল আর মিম-এ। ‘দোস্ত সে জ্যাদা, পর গার্লফ্রেন্ড সে কম’। জেন ওয়াইয়ের এমন রিলেশনশিপ স্টেটাস শুনলেই মনে হয়, এ যেন প্রেম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০০:৪১
Share:

ট্রেলার বেরোনোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এর ট্রোল আর মিম-এ। ‘দোস্ত সে জ্যাদা, পর গার্লফ্রেন্ড সে কম’। জেন ওয়াইয়ের এমন রিলেশনশিপ স্টেটাস শুনলেই মনে হয়, এ যেন প্রেম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। তবে ছবির নায়ক অর্জুন কপূর কিন্তু বলছেন অন্য কথা। ‘‘হাফ গার্লফ্রেন্ড মানে কিন্তু ক্যাজুয়াল নয়। এর মানে ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটও নয়। এর মধ্যে একটা ইমোশনাল বন্ড আছে। জীবনে অনেক সম্পর্ক হয় যেগুলোর নাম দেওয়া যায় না। পরিস্থিতির চাপে সম্পর্কগুলো পরিণতি পায় না। সেই সম্পর্কের কথা দেখানো হয়েছে ছবিতে।’’

Advertisement

ছবিতে অর্জুন ছোট শহর থেকে আসা মাধব ঝা-এর চরিত্রে। বয়ফ্রেন্ড অর্জুন কতটা আলাদা মাধবের থেকে? অর্জুনের কথায়, ‘‘আমি মাধবের মতো হতে চাই। সব ছেলেরই মাধবের থেকে শেখা উচিত। যে প্যাশন, ডেডিকেশনের সঙ্গে সে প্রেম করে সেটা শিক্ষণীয়।’’ কিন্তু মাধবের সঙ্গে ব্যক্তি অর্জুনের কোনও মিল নেই। কথা বলা, চাল চলন কিছুতেই না। অর্জুনের কথায়, ‘‘আমাদের দেশে মাধব ঝা-এর মতো লোকেরা এগোতে পারে না। তারা ভাল ইংরেজি বলতে পারে না। কিন্তু মাধবের মতো চরিত্রে অভিনয় করে আমি গর্বিত। কোনও রকম ক্যারিকেচার না করে মাধবকে সততার সঙ্গে ছবিতে দেখানো হয়েছে।’’

শ্রদ্ধার স্মার্ট ডায়েট

Advertisement

তাঁকে দেখলে মনে হয় কেক-পেস্ট্রি, চকোলেট একেবারে নো নো। সাক্ষাৎকারের মাঝে তাঁর জন্য এল এক কাপ গরম জল। এটা কি কোনও ডায়েটের পার্ট? তার উত্তরে ছবির নায়িকা রিয়া মানে শ্রদ্ধা কপূর বললেন, ‘‘আমি সব খাই। কিন্তু স্মার্ট ডায়েট ফলো করি। বিকেল পাঁচটার পরে কোনও ডেসার্ট নয়। ডিনার তাড়াতাড়ি করি।’’ আর খাওয়ার মাঝে মাঝে চলতে থাকে পেপার মিন্ট টি, চা ইত্যাদি। অর্জুন জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘ব্রেকফাস্ট কী করেছিলে?’’ বেশ উৎসাহিত হয়ে শ্রদ্ধা বললেন, ‘‘লুচি আর আলুর তরকারি।’’ আর এর পর মেনুতেও মাছের ঝোল রাখা আছে শুনে একটা চওড়া হাসি দেখা গেল শ্রদ্ধার মুখে।

রিলেশনশিপ, সোশ্যাল মিডিয়া ও জেন ওয়াই

এই প্রজন্মের প্রেম নিয়ে অভিযোগ অনেক। যুগটাও ফাস্ট, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সম্পর্কগুলোও খুবই ক্ষণস্থায়ী। অর্জুন-শ্রদ্ধা দু’জনেই সেটা মানেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অর্জুন বিশ্বাস করেন, ‘‘যদি সত্যি কেউ মন দিয়ে কাউকে ভালবাসে, তবে সে সব সময় তার পাশে থাকে।’’ অর্জুন মানেন, ‘‘এই প্রজন্ম তাড়াতাড়ি ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। প্রেমে না পড়লেও মেনে নেয় তারা প্রেম করছে। আগে প্রেম মানেই ধরে নেওয়া হতো বিয়ে। কিন্তু এখন বিয়ের আগে বারবার লোকে প্রেমে পড়ে। সম্পর্কে ঢোকার আগেই তার থেকে বেরোনোর পথ ভেবে রাখে।’’ এর জন্য কি সোশ্যাল মিডিয়াকে দায়ী করবেন? অর্জুন-শ্রদ্ধা বলেন, ‘‘এর জন্য কাউকে ঠিক দায়ী করা যায় না। প্রতিটা প্রজন্ম আগের প্রজন্মের থেকে ফাস্ট। আর সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ছে।’’ শ্রদ্ধার কথায়, ‘‘লোকজন এখন নিজের কথা বেশি ভাবে। এমনকী কমিটমেন্ট ফোবিয়া থেকে বিয়েও করতে চায় না।’’

আরও পড়ুন: বলিউডের অপমান এখনও দগদগে

লিংকআপস

এক দিকে অর্জুন-মালাইকা, অন্য দিকে শ্রদ্ধা-ফারহানের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। জলঘোলাও হয়েছে
বিস্তর। কী ভাবে সামলান তাঁরা? দু’জনেরই বক্তব্য, এগুলো নিয়ে তাঁরা আর মাথা
ঘামান না। ‘‘খবরগুলো দেখলে আপসেট লাগে ঠিকই, কিন্তু এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি,’’
মন্তব্য শ্রদ্ধার।

ছবি: রণজিৎ নন্দী

ফুড পার্টনার: ফ্লুরিজ, পার্ক স্ট্রিট

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন