Kharagpur Municipality

বোর্ড রক্ষা করেই সমস্যার সমাধান চান পুর-প্রতিনিধিরা

খড়্গপুর পুরসভার বোর্ড রক্ষা করেই সমস্যার সমাধান চাইছেন পুরপ্রতিনিধিরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:১৭
Share:

খড়্গপুর পৌরসভা। ফাইল চিত্র।

পুর পরিষেবায় অভাব অনেক। পুর প্রতিনিধিরা বার বার দাবি জানিয়েও হয়নি অভাব পূরণ। এর মধ্যে শো-কজ়ের মুখে পড়েছে পুরবোর্ড। জবাবি চিঠি নিয়ে বোর্ড মিটিং করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতে সই করেছেন উপস্থিত শাসক-বিরোধী পুর প্রতিনিধিদের এক জন বাদে সকলে। গরহাজির ছিলেন তিনজন। যদিও জবাবি চিঠিতে সই করা অনেকেই আলাদা ভাবে পুরপ্রধানকে জানিয়েছেন নিজেদের ওয়ার্ডের সমস্যার কথা। এ বার দ্রুত সেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হবেন বলে জানালেন পুরপ্রধান।

খড়্গপুর পুরসভার বোর্ড রক্ষা করেই সমস্যার সমাধান চাইছেন পুরপ্রতিনিধিরা। শহরের উন্নয়নের স্বার্থে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের করা শো-কজ়ের জবাবি চিঠিতে পুরবোর্ড রক্ষার তাগিদে সই করেছেন ৩১ জন পুরপ্রতিনিধি। তবে মঙ্গলবার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বিজেপির পুরপ্রতিনিধি তথা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি নমিতা চৌধুরী ও রাজু গুপ্ত। রাজু ও নমিতা শহরের বাইরে আছেন। বিধানসভায় পুর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থাকায় পুরসভার ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না বলে লিখিত দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন হিরণ। তবে বৈঠকে থেকেও জবাবি চিঠিতে সই করেননি বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি তথা পুরপ্রতিনিধি অভিষেক আগরওয়াল। যদিও অভিষেক-সহ কয়েকজন নিজেদের ওয়ার্ডের সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন পুরপ্রধানের কাছে। আবার অনেকে মৌখিক ভাবেও বোর্ড মিটিংয়ে ওয়ার্ডের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।

১৬নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি অভিষেক আগরওয়াল বলেন, “যে বোর্ড কাজ করতে না পারায় ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে তার তৈরি জবাবি চিঠিতে আমি সই করিনি। আমি নিজের ওয়ার্ডের সমস্যা জানিয়েছি।” ২৬নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির পুরপ্রতিনিধি অনুশ্রী বেহেরা বলেন, “বোর্ড বাঁচলে তো আমরা কাজ করতে পারব মানুষের জন্য। তাই শহরের মানুষের স্বার্থে জবাবি চিঠিতে সই করেছি। কিন্তু কাজ না হওয়ার দায় তো তৃণমূলের পুরবোর্ডের। আমরা বিজেপির পুরপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছি।” আবার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তথা বিরোধী দলনেতা বিষ্ণুবাহাদুর কামি বলেন, “বোর্ড থাকলে তবে তো পুরপ্রতিনিধির গুরুত্ব। তাই জবাবি চিঠিতে সই করেছি। তবে বোর্ড মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে বলেছি যে আগামী ৬মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান যদি না হয় তা হলে ফল বুমেরাং হবে।”

পুরসভার এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও তৃণমূলের পুরবোর্ডের পুরপ্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা পুরপ্রতিনিধি হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুরপ্রধান ব্যক্তিগত ভাবে কখনও আমার কাজে অসহযোগিতা করেননি। কিন্তু তৃণমূলের কিছু লোক রয়েছে যারা আমার ওয়ার্ডে উন্নয়নকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। জল, আবর্জনা নিয়ে এলাকায় প্রচুর সমস্যা রয়েছে। সেগুলির সমাধান হওয়া প্রয়োজন।” তবে এ বার ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন পুরপ্রধানও। শাসক-বিরোধী না দেখে এ বার সমস্যা সমাধানে তিনি উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন। পুরপ্রধান কল্যাণী বলেন, “আমার কাছে কয়েকজন লিখিত দিয়েছেন। তাঁদের ওয়ার্ডের অভাবের কথা তুলে ধরেছেন। আমি নিশ্চয়ই সেগুলি সমাধান করব। এমনকি ১৬নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সই করেননি বলে আমি তাঁর কাজ করব না এমনটা নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন