Rohit Sharma

খেলার মাঝেই রোহিতকে বড়া পাও-এর লোভ! ফিল্ডিং করতে করতে উত্তরও দিলেন শর্মা

জয়পুরে বিজয় হজারে ট্রফিতে সিকিমের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাঝেই সমর্থকদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল রোহিত শর্মাকে। এক সমর্থক সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেন, রোহিত বড়া পাও খেতে চান কি না। রোহিত তার উত্তরও দিয়েছেন ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৪৭
Share:

রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।

দীর্ঘ দিন পর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। জয়পুরে বিজয় হজারে ট্রফিতে সিকিমের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই ১৫৫ রান করেছেন। সেই ম্যাচের মাঝেই সমর্থকদের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল রোহিতকে। এক সমর্থক সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেন, রোহিত বড়া পাও খেতে চান কি না। রোহিত তার উত্তরও দিয়েছেন।

Advertisement

মুম্বই দলের খেলা দেখতে সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ১২ হাজার দর্শক। বেশির ভাগই এসেছিলেন রোহিতকে দেখতে। রোহিতও নিরাশ করেননি। মাঝেমাঝেই সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন। সমর্থকেরাও পাল্টা ‘রোহিত, রোহিত’ চিৎকার করেছেন।

সিকিমের ইনিংস চলাকালীন বাউন্ডারির ধারে রোহিত ফিল্ডিং করার সময় এক সমর্থক প্রশ্ন করেন, “বড়া পাও খাবে?” রোহিত সে দিকে ঘুরে তাকান। ওই সমর্থকের দিকে তাকিয়ে হেসে হাত নাড়ান। বুঝিয়ে দেন, খাবেন না। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই ফিটনেসের দিকে মন দিয়েছেন রোহিত। মুম্বইয়ে বড় হওয়ার সুবাদে বড়া পাও তাঁর প্রিয় খাবার। সেটাও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। খাবারে অনেক নিয়ন্ত্রণ এনেছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে ছিপছিপে রোহিতকে দেখা গিয়েছে।

রোহিতের ফিটনেস নিয়ে কিছু দিন আগেই কথা বলেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা কেকেআর কোচ অভিষেক নায়ার। তিনি বলেছিলেন, “আমি ভাবতেও পারিনি রোহিতের ওজন এতটা কমে যাবে। আগেও ওজন কমানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু একের পর এক প্রতিযোগিতা থাকায় অনুশীলন এবং পুষ্টির জন্য যে সূচি মেনে চলা দরকার সেটার সময় হচ্ছিল না। এ বার টানা তিন মাস পেয়েছিলাম।”

আরও বলেছিলেন, “ধারাবাহিক ভাবে অনুশীলন করেছে। এখনই এটা শেষ করার পরিকল্পনা নেই। আমরা ওর খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দিয়েছিলাম। বাড়ি গিয়ে কোনও দিন প্রিয় বড়াপাও খাওয়ার আবদার করেনি। এটাই হল ক্রিকেটের প্রতি ওর দায়বদ্ধতা। শরীরের ওজন কমলে সেটা প্রতিটা পদে বোঝা যায়। ও বুঝেছিল এটাই শারীরিক বদল আনার সেরা সময়। তাই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে ওকে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement