(বাঁ দিকে) রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন এর থেকে ভাল হতে পারত না রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির জন্য। এ বছরের শুরুতে তাঁরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজেদের রাজ্যের হয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু নিজেদের পছন্দের ফরম্যাটে নেমে দু’জনেই বিজয় হজারে ট্রফিতে মাতিয়ে দিলেন। দু’জনের ব্যাট থেকেই এল শতরান। জিতল দলও। অন্য দিকে, ভারতীয় ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরে আসা ঈশান কিশনও শতরান করে রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলেছেন।
রোহিত এবং কোহলি দু’জনেই নজির গড়েছেন। রোহিত বিজয় হজারেতে দ্বিতীয় প্রবীণতম ক্রিকেটার হিসাবে শতরান করার পাশাপাশি এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বার ১৫০-এর বেশি রান করার নিরিখে যুগ্ম ভাবে শীর্ষে এসেছেন। ন’বার এই কীর্তি গড়ে তিনি ছুঁয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে।
কোহলি লিস্ট এ ক্রিকেটে ভেঙে দিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড। সচিন ৩৯১তম ইনিংসে ১৬ হাজার রান করেছিলেন। কোহলি সেই কাজ করলেন ৩৩০তম ইনিংসেই।
অন্য দিকে, বাংলার অনুষ্টুপ মজুমদারের পর দ্বিতীয় প্রবীণতম ক্রিকেটার হিসাবে (৩৮ বছর ২৩৮ দিন) বিজয় হজারেতে শতরান করেছেন রোহিত।
দুর্বল সিকিমের বিরুদ্ধে জয়পুরের সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৩৬/৭ তোলে সিকিম। আশিস থাপা (৭৯) ছাড়া কেউই বলার মতো রান পাননি।
জবাবে রোহিত একাই শেষ করে দেন সিকিমকে। তাঁর ৯৪ বলে ১৫৫ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৮টি চার এবং ৯টি ছয়। আর এক ওপেনার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী (৩৮) এবং মুশির খানদের (অপরাজিত ২৭) কিছুই করতে হয়নি।
বোর্ডের উৎকর্ষ কেন্দ্রের মাঠে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কোহলির দিল্লি। আগে ব্যাট করে রিকি ভুইয়ের (১২২) শতরানের সুবাদে ২৯৮/৮ তোলে অন্ধ্র। দিল্লির সিমরজিৎ সিংহ ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন।
জবাবে কোহলি শতরান করেন দিল্লির হয়ে। ১০১ বলে ১৩১ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৪টি চার এবং ৩টি ছয়। ভাল খেলেন প্রিয়াংশ আর্য (৭৪) এবং নীতীশ রানাও (৭৭)। কোহলি অবশ্য ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। তবে দিল্লি জিতেছে চার উইকেটে।
ঈশানের ৩৯ বলে ১২৫ রানের সুবাদে কর্নাটকের সামনে ৪১৩ রানের লক্ষ্য রেখেছে ঝাড়খন্ড। জবাবে ৩৬ ওভার পর্যন্ত কর্নাটকের স্কোর ২৮৭/৪। শতরান করে ক্রিজ়ে রয়েছেন দেবদত্ত পাড়িক্কল।
পঞ্জাবও বড় রান করেছে। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৭/৬ তুলেছে তারা। শুরুটা ভাল করেও বড় রান করতে পারেননি অভিষেক শর্মা (৪৮)। রান পেয়েছেন প্রভসিমরন সিংহ (৬০), অনমোলপ্রীত সিংহ (৮৫) এবং নমন ধীর (৯৭)।