বাস্তবে কেমন সন্দীপ রেড্ডী? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর ছবি মানেই বিতর্ক। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবি পেয়েছে নারীবিদ্বেষী তকমা। ‘কবীর সিংহ’ ছবিতেও নায়িকার গায়ে হাত তুলতে দেখা গিয়েছিল নায়ককে। ছবির পরিচালক অর্থাৎ সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গা যদিও মনে করেন, প্রেম থাকলে গায়ে হাত তোলাই যায়। তাঁর মতে, গায়ে হাত না তোলা গেলে আর প্রেম কিসের? এমন মন্তব্য করায় কটাক্ষেরও শিকার হন তিনি। তবে বিতর্কে জড়ালেও তাঁর ছবি বক্সঅফিসে সফল। সেই সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গার জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। ৪৪ বছরের জন্মদিন। পর্দায় যিনি এত ‘নারীবিদ্বেষ’ দেখান, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কেমন?
২০১৪ সালে মনীষা রেড্ডীকে বিয়ে করেন সন্দীপ। এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান তাঁদের। তেলুগু ছবি ‘অর্জুন রেড্ডী’ সফল হওয়ার পরে পুত্রের নাম রাখেন অর্জুন রেড্ডী। কন্যার জন্ম হয় ২০২০ সালে।
স্ত্রীর সঙ্গে সন্দীপ। ছবি: সংগৃহীত।
পরপর সফল ছবির জন্য প্রায়ই আলোচনায় থাকেন সন্দীপ। কিন্তু প্রচারের আলো থেকে বহু দূরে রেখেছেন স্ত্রীকে। মনীষা নিজেও নাকি প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। সমাজমাধ্যমেও গোপনে থাকেন মনীষা। সাক্ষাৎকারেও স্ত্রীর বিষয়ে বেশি কথা বলেন না তিনি। ব্যক্তিগত জীবনকে পেশা থেকে আলাদা রাখেন। তাই প্রশ্ন ওঠে, অধিকারবোধ থেকেই কি স্ত্রীকে আড়াল করে রাখেন সন্দীপ?
তবে ‘অ্যানিম্যাল’ নিয়ে বিতর্কের সময়ে স্ত্রীর কথা তুলেছিলেন পরিচালক। এই ছবি দেখে মনীষার কী প্রতিক্রিয়া, তা জানিয়েছিলেন তিনি। ছবিতে একাধিক বার মহিলাদের মারধর ও গালাগালের দৃশ্য রয়েছে। তাই ‘নারীবিদ্বেষী’ বলা হয় এই ছবিকে। ছবিতে রক্তারক্তি অতিরিক্তই দেখানো হয়েছে, এই মত ছিল মনীষার।
বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে সন্দীপ জানিয়েছেন, জীবনে তিনি সবসময় পাশে পেয়েছেন মনীষাকে। আর্থিক সঙ্কটে ও কর্মজীবনে লড়াইয়ের সময়েও স্ত্রী পাশে ছিলেন। কিন্তু তাও কেন নরনারীর সম্পর্ক এত বিষাক্ত ভঙ্গিতে ছবিতে তুলে ধরেন সন্দীপ? এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিচ্ছেদের পরে এক ধরনের রসায়ন তৈরি হয়। প্রাক্তন হয়ে গেলেও তাঁরা পরস্পরকে ভুলতে পারে না। আবার ফিরেও যেতে পারে না। এই চাপানউতরকেই তিনি ছবিতে তুলে ধরতে চান। বর্তমানে পরিচালক ‘স্পিরিট’ ছবি নিয়ে ব্যস্ত।