Web Series

Sampurna: ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’-এ ছারখার রাজ‘নন্দিনী’র জীবন! বিচার চেয়ে আদালতে ‘সম্পূর্ণা’ সোহিনী

কবে বৈবাহিক ধর্ষণ ‘অপরাধ’ বলে গণ্য হবে? কবে রোখা যাবে ‘ভালবাসা’র নামে অত্যাচার? এমনই সব প্রশ্ন উস্কে দিতে আসছে নতুন সিরিজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১৯:১৪
Share:

নতুন সিরিজ নিয়ে আসছেন সোহিনী

দেশে না কমছে ধর্ষণের সংখ্যা। বিয়ের পরে ইচ্ছের বিরুদ্ধে সহবাস বা ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অপরাধ হিসেবে গণ্যই বা হচ্ছে কই! নন্দিনীর কথাই ধরুন। ভাল পরিবার দেখে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন মা-বাবা। বিয়ের রাত থেকে সে স্বামীর যৌন বিকৃতির শিকার! আদর নয়, ফুলশয্যার রাত থেকেই তার উপরে পাশবিক অত্যাচার শুরু। শ্বশুরবাড়ির কেউ বিষয়টিকে পাত্তাই দেন না! ব্যতিক্রম নন্দিনীর বড় জা। তার চোখ এড়ায়নি নতুন বৌয়ের ঠোঁটের কোণে কালশিটে।

Advertisement

‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ আদৌ অপরাধ? এই নিয়ে দ্বিধা দেশের উচ্চ, শীর্ষ আদালতেও। প্রশাসনের দাবি, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী স্বামী তাঁর স্ত্রীর উপরে জোর খাটাতেই পারেন! সেখানে কোনও অন্যায় নেই। চেয়েও স্ত্রীকে না পেলে আঘাতও করতে পারেন! এ সবই নাকি বন্ধ দরজার ওপারের গোপন দাম্পত্য! কিন্তু তাই বলে চোখের সামনে একটি মেয়ে সারা ক্ষণ আতঙ্কে কুঁকড়ে থাকবে? সারা শরীরে স্বামীর ‘ভালবাসা’র অত্যাচারের দাগ কারও চোখে পড়বে না? রোজ রাতে সেই মেয়েই ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর লালসা মেটাবে! আর চোখের জলে ভিজবে?

এমন সব প্রশ্ন উস্কে দিতেই ২৯ জুলাই আসছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি তাঁর আগামী সিরিজ ‘সম্পূর্ণা’য় এই প্রশ্নই আদালতে পৌঁছে দেবেন ‘সম্পূর্ণা’ সোহিনী সরকার। রহস্য-রোমাঞ্চ ছেড়ে হঠাৎ কেন এমন জ্বলন্ত ইস্যু তাঁর সিরিজে? পরিচালকের যুক্তি, বৈবাহিক ধর্ষণ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ আগের তুলনায় অনেক সচেতন। কিন্তু সবাই নন। তাই বৈবাহিক ধর্ষণ রয়েই গিয়েছে। একে নির্মূল করতে, নারীর ‘না’কে সম্মান জানাতেই এই চেষ্টা। যদি এতে হুঁশ ফেরে সমাজের।

Advertisement

সিরিজে সোহিনীর ছোট জা রাজনন্দিনী পাল। পর্দায় তাঁর উপরে প্রতি রাতে পাশবিক অত্যাচার করেন অনুভব কাঞ্জিলাল। যা দেখেও দেখতে চান না ‘ভাসুর’ প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘শাশুড়ি’ লাবণি সরকার, ‘শ্বশুর’ রজত গঙ্গোপাধ্যায়। বাস্তবে বিষয়টি নিয়ে কী মত সোহিনীর? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘বিষয়টি ভীষণ নাড়া দিয়েছে। নারী হিসেবে, এক জন মানুষ হিসেবেও।’’ অভিনেত্রীর দাবি, এই সিরিজ কিছু মানুষকেও সচেতন করলে সবার পরিশ্রম সার্থক। সার্থক হবে ‘সম্পূর্ণা’ নামটিও। কারণ, নারীর ভাল-মন্দ উভয় ক্ষেত্রেই স্বাধীন মতপ্রকাশ করতে পারলে তবেই সে পূর্ণতা পায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন