সেটে ধ্রুব ও আবির
হিন্দির পাশাপাশি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ছবির ঢল। সেই ধারায় নতুন সংযোজন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’। এটি তাঁর প্রথম ছবি। পরিচালনায় আসার যাত্রাপথ কেমন ছিল? ‘‘ছোটমামা সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সাহচর্যে ছোট বয়স থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যে বড় হয়েছি। কলেজ জীবনে দীর্ঘ সময় ‘স্বপ্নসন্ধানী’ থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তার পর মার্কেটিংয়ের চাকরি ছেড়ে মুম্বইপাড়ি। বিজ্ঞাপন দিয়ে ছবির জগতে হাতেখড়ি।’’ বলিউড পরিচালক ও কোরিয়োগ্রাফার রেমো ডি’সুজার প্রথম ছবি ‘লাল পাহাড়ের কথা’র চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ধ্রুব ও তাঁর বন্ধু বসিরহাট কলেজের শিক্ষক শুভেন্দু দাসমুন্সী। মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত সেই ছবি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা পেয়েছিল। ওই ছবিতে সহকারী পরিচালক ছিলেন ধ্রুব। এ ছাড়া অ্যানিমেশনে কাজ করেছেন জেফ্রি স্কটের সঙ্গেও।
‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ ছবির গল্পও লিখেছেন ধ্রুব ও শুভেন্দু। বাংলায় অ্যাডভেঞ্চার ছবির দর্শক তৈরি বলেই কি এমন বিষয়কে প্রথম ছবির প্লট হিসেবে বাছলেন? ধ্রুবর কথায়, ‘‘বাংলায় গুপ্তধন নিয়ে কোনও সিরিজ তৈরি হয়েছে বলা যায় না। সে দিক থেকে এটা মৌলিক সৃষ্টি। গুপ্তধন নিয়ে আমাদের নস্ট্যালজিয়া আছে। তবে এই প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম কি সেই স্মৃতিসুধার ভাগ পাবে? এটাই শুভেন্দু আর আমাকে অনেক দিন ভাবিয়েছে। গুপ্তধন তো শুধু মাটির তলায় লুকোনো সম্পদ নয়। বাংলার সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্যও গুপ্তধনের চেয়ে কম কীসে!’’
প্রথম ছবিতেই অরিন্দম শীল, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও গৌতম ঘোষের মতো তাবড় পরিচালকদের অভিনেতা হিসেবে পেয়েছেন ধ্রুব। ‘‘চিত্রনাট্য শুনেই ওঁদের খুব পছন্দ হয়েছিল। আমি সেটে ভয়ে থাকলেও ওঁরা আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন,’’ বলছেন ধ্রুব।
প্রথম ছবি মুক্তির আগেই ধ্রুব ও শুভেন্দু মন দিয়েছেন দ্বিতীয় ছবির গল্পে। ‘‘শীতকালেই ফের শুট করব। যাতে চরিত্রগুলোর লুক একই থাকে। সেটা একটা সিরিজের আবহ তৈরি করবে,’’ বললেন তিনি।
স্ত্রীর সঙ্গে নানা জায়গা ঘুরে প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনে আগ্রহী পরিচালক। শখ আছে বাগান করার, বই পড়ার। পরিচালক ধ্রুবর জীবনের গুপ্তধন কোনটি? ‘‘প্রথম ছবিতেই এত মানুষের সাহচর্য! আর জীবনে সফল জুটি থাকলে তার চেয়ে বড় গুপ্তধন আর কী চাই...’’ হাসতে হাসতে বললেন তিনি।